• বিশেষ প্রতিবেদন

আশা যেন দুরাশা, খানাখন্দে ভরপুর দেশের সিঙ্গাপুর সড়ক!

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ২২ জুন, ২০২১ ১৫:২৯:০৯

ছবিঃ সিএনআই

ফুয়াদ মোহাম্মদ সবুজ, চট্টগ্রামঃ সড়কের কার্পেটিং উঠে গেছে। তাই খানাখন্দে ভরা, জায়গায় জায়গায় গর্ত। একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। এ দশা দেশের সিঙ্গাপুর খ্যাত মহেশখালী উপজেলা মাতারবাড়ীর। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই ইউনিয়নের প্রবেশপথ ধারাখাল ব্রিজের পর থেকে পুরো এলাকাজুড়ে দেখা মিলবে এমন চিত্রের। পথযাত্রীরা বলছেন, দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় প্রধান সড়কসহ অভ্যন্তীরণ অলিগলি দিয়ে চলাচলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা। কালভার্ট কিংবা সড়কে ফাটল বা গর্তের সৃষ্টি হলে দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্রমেই বাড়ছে সড়কের ভোগান্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সোস্যাল এক্টিভিটিস্টরা।

সরজমিনে দেখা যায়, সিঙ্গাপুর খ্যাত মাতারবাড়ীর প্রবেশপথ চিতাখুলা-মাতারবাড়ী প্রধান সড়কের ধারাখাল ব্রিজ থেকে পুরো ইউনিয়নের অধিকাংশ জায়গায় খানাখন্দ। কার্পেটিং উঠে সড়কে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত হয়েছে। বৃষ্টি-বর্ষা হলেই গর্তগুলোতে পানি জমে যায়। ফলে সড়কটিতে যানবাহন ও পথযাত্রী চলাচলে ভোগান্তি পৌঁছে চরমে। ইউনিয়নটিতে মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান হওয়ায় দুর্ভোগ লাগবে আশাবাদী ছিলের স্থানীয়রা। যদিও তাদের এই আশা এখনো দুরাশাই থেকে গেলো। এ অবস্থায় কর্তৃপক্ষের দায়সারা ভূমিকায় হতাশ স্থানীয়রা।

সড়কের যানচালকরা বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি-বর্ষার মধ্যে এই রাস্তায় (সড়ক) কাদা-পানিতে নাজেহাল হয়ে থাকে। যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হয়। অনেক সময় মুমূর্ষু ও ডেলিভারি রোগী নিয়ে চলাচলে ঝুঁকি থাকায় বিপত্তিতে পড়তে হয়। তাই গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন। প্রায় সময় সড়ক কিংবা কালভার্টের ভাঙন শুরু হলে জরুরী মেরামত না করে কালক্ষেপণ করেন সংশ্লিষ্টরা। তাই অনেকক্ষেত্রে অল্পতেই সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

স্থানীয়রা বলছেন, মাতারবাড়ীর প্রধান সড়ক দিয়ে প্রকল্পের ভারি যান চলাচলের কারণে এ সড়কের এমন বেহাল দশা। তাছাড়া সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হলেও কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে জনগণের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। এই ইউনিয়নে মেগা প্রকল্প স্থাপন হওয়ায় তুলনামূলকভাবে আগের চেয়ে যান চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা পুরনো সিএনজি স্টেশনসহ ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি জায়গায় লেগে থাকে যানজট।  এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে মজবুত-টেকসই সড়ক তৈরি করে দিলে দুর্ভোগ লাগবে সহায়ক হবে৷ তাই দ্রুত এ সড়কটি সংস্করণের দাবি জানাচ্ছি। 

কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে, তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo