• অপরাধ ও দুর্নীতি

উত্তরায় শ্রীলঙ্কান নাগরিকের বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ২১ জুন, ২০২১ ১৮:৩১:৫০

প্রতীকী ছবি

নুরুল আমিন হাসান : রাজধানীর উত্তরায় প্রসন্ন গজিম (৫০) নামের একজন শ্রীলংকান নাগরিকের বিরুদ্ধে সানি (ছদ্মনাম) নামের যুবককে বলাৎকারের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় মহিউদ্দিন ওরফে রনিসহ আরো ২/৩ জনকে সহযোগীতার অভিযোগে আনা হয়েছে। 

উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ সূত্রে সোমবার (২১ জুন) এসব তথ্য জানা যায়। এর আগে শনিবার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলায় প্রতারণামূলকভাবে ৬০ হাজার টাকা আত্মসাৎ এবং ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক বলাৎকারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

থানা পুলিশের বিশ্বাস্ত সূত্র সিএনআই'কে জানায়, ভুক্তভোগী ওই যুবক গুলশানের একটি সিকিউরিটি কোম্পানিতে চাকরী করেন। তাকে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ৪ নং সড়কের ১৮ নং আট তলা বাড়িতে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই ভবনের সাত তলায় ইউরোপ টেক্স ফ্যাশন লি. নামের একটি গেষ্ট হাউজ রয়েছে। ওই গেষ্ট হাউজের কান্ট্রি ম্যানেজার প্রসন্ন গমিজ। তিনি সেখানেই বসবাস করেন। 

তার সাথে ভুক্তভোগীর সু-সম্পর্ক থাকায় ভালো ব্যবহার করত এবং ফুটফরমাশ কাটাতো। এক পর্যায়ে তার কোম্পানিতে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক লাখ টাকা চান প্রসন্ন গমিজ। পরে ওই ভুক্তভোগী তার কথামতো গত ২০ এপ্রিল ৬০ হাজার টাকা দেন তাকে। পরবর্তীতে তিনি চাকরি না দিয়ে তালবাহানা শুরু করেন। এছাড়াও সে ভুক্তভোগীকে খারাপ কাজ করার জন্য প্রস্তাব দেয়। 

পরের দিন ভুক্তভোগীকে বাড়ির ছাদে ডেকে নিয়ে জিন্সের প্যান্ট, গেঞ্জিসহ অন্যান্য জিনিস উপহার দিয়ে তার কাজের জন্য প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে সে তার শরীরের বিভিন্ন লজ্জাস্থান স্পর্শ করে। পরে ওই ভুক্তভোগী সেখান থেকে পালিয়ে চলে যান। এমত অবস্থায় ওই শ্রীলংকান নাগরিক খারাপ কাজের জন্য রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দেখাতো। যদিও বিষয়টি মান-সম্মানের ভয়ে ভুক্তভোগী কাউকে জানাননি।

এদিকে গত ২৬ মে ভোর ৪টার দিকে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন সানি। তখন ম্যানেজার জাকারিয়ার নিচতলার রুমে সানিকে ঢেকে নিয়ে জোরপূর্বক বলাৎকার করে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর চিৎকারে কর্তব্যরত সিকিউরিটি গার্ড ও ম্যানেজার জাকারিয়া ভুক্তভোগীকে উলঙ্গ অবস্থায় উদ্ধার করে। এবং ওই ঘটনার একটি ভিডিও রেকর্ড করে। এদিকে ওই শ্রীলংকান নাগরিক কাকে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দেখায়।

এ ঘটনার পর পরই ভুক্তভোগী সানি মান-সম্মানের ভয়ে চাকরি ছেড়ে দিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যান। বিষয়টি তার মা জানতে পেরে ওই বাড়ির মালিক এবং এসোসিয়েশনকে জানানোর পরও কোন সুরাহা না পাওয়ায় উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করা হয়।

এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস সিএনআই' কে বলেন, মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)'তে চলে গেছে। ওই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

অপরদিকে উত্তরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) এস এম আশিকুর রহমান সিএনআই কে বলেন, থানায় শুধু মামলাটি হয়েছে। মামলা হওয়ার সাথে সাথেই তদন্তের জন্য পিবিআই নিয়ে যায়। পিবিআই তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo