• বিশেষ প্রতিবেদন

সাতকানিয়ার কেরানিহাটে রাস্তার পাশে ময়লার স্তূপ : দুর্ভোগ দেখার কেউ নেই

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ২১ জুন, ২০২১ ১১:০৭:২১

ছবিঃ সিএনআই

রমজান আলী,সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধিঃ মানুষের দুর্ভোগ যেন দেখার কেউ নেই, তবে ঠিক সময় চলে যাচ্ছে সরকারি কোষাগারে  কোটি কোটি টাকা রাজস্ব। দক্ষিন চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক প্রাণ কেন্দ্র সাতকানিয়া উপজেলার  কেরানিহাট স্টেশনের উভয় পাশে নামমাত্র ড্রেনেজ থাকলেও ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য নিদিষ্ট ড্রাম্পিং স্টেশন না থাকায় যত্রতত্র ময়লা ফেলা হচ্ছে। আবর্জনা পঁচে দুর্গন্ধে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এতে বিভিন্ন রোগব্যাধি ছড়াচ্ছে। রাস্তার দুই পাশ দিয়ে নামমাত্র ড্রেন রয়েছে। ড্রেনটি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে থাকলেও তা সংস্কারে কোন উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। প্রতিনিয়ত বৃষ্টি ছাড়াই ড্রেনের ময়লা পানিতে রাস্তা তলিয়ে যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, সাতকানিয়া উপজেলার কেরানিহাট একটি অন্যতম বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। গুরুত্বপূর্ণ এই বাজারে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। পানি নিষ্কাশনের নালা ময়লা-আবর্জনায় ভরাট হয়ে গেছে। এ কারণে জনসাধারণ চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।

এই দিকে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বাজারে এসব ড্রেন নির্মাণে সরকারের লাখ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। তবে এগুলো সাধারণ মানুষের কোনো উপকারে আসছে না। বিশেষ করে বর্তমানে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ায় বাজারের বিভিন্ন স্থানে ময়লা-আবর্জনা মিশ্রিত পানি জমে থাকায় ব্যবসায়ীদের পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে।

একজন পথচারী অভিযোগ, এসব রাস্তা দিয়ে নাক চেপে হাঁটতে হয়। ময়লায় রাস্তার অর্ধেক দখল হয়ে যাওয়ায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। আবার যানবাহন ধীরে চলায় বেশি সময় ধরে দুর্গন্ধ সহ্য করতে হয় যাত্রী ও পথচারীদের।

এই বিষয়ে কেরানিহাট প্রগতিশীল  ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি ফেরদৌসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কিছু স্থান পরিষ্কার করেছি। তবে কাজের মানুষের অভাবের কারনে বাকী কাজ গুলো বন্ধ হয়ে গেছে, তবে যত দ্রুত সম্ভব মানুষ দিয়ে পরিস্কার করে ফেলব।

কেঁওচিয়া ইনিয়নের চেয়ারম্যান মনির উদ্দিনের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেরানিহাটে এলাকায় আমার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের অধীনে যে স্থান গুলোতে ময়লা ছিল সেগুলো আমি ব্যক্তিগতভাবে কিছু দিন আগে প্রায় ৭০ হাজার টাকা দিয়ে পরিষ্কার করেছি। তবে রাস্তার পশ্চিম পাশ আমার ইউনিয়নের অধীনে নয়। সেটা ঢেমশা ইউনিয়নের অধীনে। এটা পরিস্কার করার কাজ ঢেমশা ইউনিয়নের। 

এবিষয়ে ঢেমশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিদুওয়ান উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ময়লা স্তূপ বা আবর্জনা গুলো পরিস্কার করার দায়িত্ব তো আমার নয়। এই গুলো দায়িত্ব কেরানিহাট ব্যবসায়ী ও পরিচালনা কমিটির সদস্যদের। 

এই বিষয়ে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি স্থানীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বাজার কমিটির লোকদের কে ফোন করে  বলেছি পরিষ্কার করার জন্য। কেরানীহাট স্টেশনের ময়লা গুলো যাতে দ্রুত সম্ভব তারা যেন পরিস্কার করে নেয়। তিনি আরো বলেন, যদি তারা দ্রুত সময়ের ভিতরে পরিষ্কার না করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনিভাবে ব্যবস্থা নিব।

উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে কেরানীহাট স্টেশনের ময়লা আবর্জনা সম্পর্কিত বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল। তবে তাতে তেমন কোন টনক নড়েনি সংশ্লিষ্টদের। জনসাধারণের দাবি, দ্রুত এই ময়লা আবর্জনা গুলো পরিষ্কারের মাধ্যমে কেরানিহাট স্টেশনকে যেন পরিচ্ছন্ন এক স্টেশনে রুপান্তরিত করা হয়।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo