• অপরাধ ও দুর্নীতি

মদ-রক্ষিতাসহ নাসির-অমি গ্রেফতারের ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মামলা

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ১৫ জুন, ২০২১ ১৩:৩২:৪২

ছবিঃ সিএনআই

নুরুল আমিন হাসান: চিত্র নায়িকা পরিমনিকে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় রাজধানীর উত্তরা থেকে রক্ষিতা, মদ-বিয়ার ও ইয়াবাসহ নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকি অমি গ্রেফতারের ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। (ডিবি)।

ডিএমপি'র বিমানবন্দর থানায় সোমবার (১৪ জুন) দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে মামলাটি করেন ডিবির গুলশান জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার সিকদার। 

এর আগে উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর সড়কের ১৩ নম্বর বাড়ি থেকে সোমবার (১৪ জুন) বিকেলে তাদেরকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নায়িকা পরিমনিকে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার মামলা প্রধান আসামী নাসির উদ্দিন মাহমুদ, দুই নম্বর আসামী তুহিন সিদ্দিকি অমি ছাড়াও নাজমা আমিন বৃষ্টি ওরফে স্নিগ্ধা, লিপি আক্তার ও সুমি আক্তার নামের তিন তরুণী।

গ্রেফতারকালে তাদের কাছ থেকে বেশ কয়েক বোতল বিদেশি মদ-বিয়ার ও কয়েক প্যাকেট ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়।

মামলার বিষয়ে বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মশিউর আলম বলেন, নাসির-অমিকে মদ-বিয়ারসহ গ্রেফতারের ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেছে ডিবির গুলশান জোনাল টিম। মামলার বাদি হয়েছেন এসআই মানিক কুমার সিকদার।

ওই মামলায় নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকি অমি, নাজমা আমিন বৃষ্টি ওরফে স্নিগ্ধা, লিপি আক্তার ও সুমি আক্তার নামের পাঁচ জনকে আসামী করা হয়েছে। 

গ্রেফতারের পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, এটা পরীমণির কস্টিউম ডিজাইনার অমির বাসা। পরীমণির সংবাদ সম্মেলনের পর থেকে নাসির তার তার তিন জন রক্ষীতাকে নিয়ে এই বাসায় নাসির পালিয়ে ছিলেন। গ্রেফতার হওয়া নাসির উঠতি বয়সের মেয়েদের নিয়ে ডিজে পার্টি করতো। এছাড়াও সে একজন মাদক ব্যবসায়ী। 

ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার ঘটনায় রোববার (১৩ জুন) নায়িকা পরিমনির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে স্ট্যাস দেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সহযোগীতা কামনা করেন। পরে ওই রাতে তিনি এক সংবাদ সম্মেলন করেন।

ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার ঘটনায় সাভার মডেল থানায় করা মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বুধবার (৯ জুন) রাত পৌনে ১১টার দিকে তার এক বন্ধু (অমি) বাসায় আসেন। বাসা থেকে তাকে উত্তরার বোট ক্লাবে (ঢাকা বোট ক্লাব) নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জিমি (ব্যক্তিগত রূপ সজ্জাশিল্পী)। বোট ক্লাবে যাওয়ার পর সেখানে সাত/আটজনের একটা গ্রুপ ছিল। তাদের মুরব্বি ছিলেন নাসির উদ্দিন (নাসির ইউ মাহমুদ)। তিনি বোর্ড ক্লাবের চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দেন।

প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনসহ উপস্থিত সাত/আটজন তাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করতে থাকে। নায়িকাকে জোর করে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করা হয়। পরে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। এতে জিমি বাধা দিলে তাকে মারধর করা হয়। অশ্লীল নানা কথাবার্তা বলা হয়। মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo