• অপরাধ ও দুর্নীতি

পাওনা টাকা নিতে গিয়ে ব্যবসায়ীকে পুড়িয়ে খুন

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ০৮ জুন, ২০২১ ১৮:১৫:২৭

ছবিঃ সিএনআই

নুরুল আমিন হাসান : সাভার থেকে ব্যবসায়ীক লেনদেনের টাকা আনতে গিয়ে খুন হোন আহসান হাবিব। তাকে প্রথমে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়, তারপর তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। অতঃপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। 

রাজধানীর মালিবাগে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) কার্যালয়ে মঙ্গলবার (৮ জুন) দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন সংস্থাটির বিশেষ পুলিশ সুপার এসপি) মুক্তা ধর।

এর আগে গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকা থেকে সোমবার (৭ জুন) রাতে হত্যা মামলার প্রধান আসামি নুরুন নবী ওরফে রনিকে (২৭) গ্রেফতার করে সিআইডি। তিনি হলেন, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পূর্ব পোয়ালি গ্রামের ইউসুফ মাতবরের ছেলে রনি।

এছাড়াও হত্যা মামলার এজাহার নামীয় অন্যান্য আসামী মো. হাসান আহমেদ, জাহিদ হোসেন ও রঞ্জুকে পূর্বে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।

বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, গাজীপুরের কালিয়াকৈর হরিনহাটি এলাকার একটি বাড়ি থেকে গত ৭ মে দগ্ধ অবস্থায় এক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে পাঠায় পুলিশ। পরের তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিহত অজ্ঞাত ব্যক্তির নাম আহসান  হাবিব ও তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহতের শ্যালক জাকারিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন।

তিনি বলেন, ঘটনার দিন গত ৭ মে পাওনা টাকা আদায়ের কথা বলে বাসা থেকে বের হন আহসান হাবিব। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। এ ঘটনায় পরের দিন তার পরিবারের লোকজন একটি নিখোঁজ জিডি করেন।

এসপি মুক্তা ধর বলেন, সাভার থেকে নিখোঁজ হওয়ার চার দিন পর আহসান হাবিব নামের এক ব্যবসায়ীর মরদেহ শনাক্ত করে তার পরিবার।  

তিনি বলেন, নুরুন নবীর সঙ্গে নিহত ব্যবসায়ী আহসান হাবিবের ব্যবসায়ীক বিরোধ ছিল। রনির কাছে আহসান হাবিব ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকা পেতো। সেই টাকা আনতে গাজীপুরে যায় আহসান। সেখানে যাওয়ার পর রনি তার আরও তিনজন সহযোগীদের নিয়ে ব্যবসায়ী আহসান হাবিবকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে তারপর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিআইডির এই বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন,  যে বাসায় ব্যবসায়ী হাবিবের শরীরে আগুন দেওয়া হয় সেই বাসাটি ভুয়া পরিচয় দিয়ে ভাড়া নেয় ঘাতক রনি। পহেলা জুন এ বাসায় তার দুজন কর্মচারী থাকবে বলে বাড়ির মালিককে জানান। 

তিনি আরো বলেন, ভাড়া দেওয়ার পর রুমটি তালাবদ্ধ ছিলো। রনি কোনো এক সময়ে এই ব্যবসায়ীকে নিয়ে বাসায় প্রবেশ করে এবং  তাকে হত্যার পরে গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে আবার তালা মেরে পালিয়ে যায়৷  

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo