• অপরাধ ও দুর্নীতি

কথা কাটাকাটির জেরে নৈশ প্রহরীকে পিটিয়ে হত্যা

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ০৮ জুন, ২০২১ ১৭:৪২:৪৮

ছবিঃ সিএনআই

নিজস্ব প্রতিবেদক : কথা কাটাকাটির জের ধরে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে ইডেন এন্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টের ভেতরে নৈশপ্রহরী আতাউর রহমানকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। পরে তাকে তৃতীয় তলার একটি কক্ষে রেখে তালা মেরে দেওয়া হয়। সেখানেই তিনি মারা যান।

রাজধানীর মালিবাগের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)'র প্রধান কার্যালয়ে মঙ্গলবার (৮ জুন) দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন শেখ নাজমুল আলম।

এর আগে সাভারের আমিন বাজার থেকে হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃকতার অভিযোগে সোমবার (৭ জুন) রাতে ওই চাইনিজ রেস্টুরেন্টের বাবুর্চি মো. বাদলকে গ্রেফতার করে সিআইডি। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে প্রধান আসামী আতিকুর রহমান খান ওরফে শিতল্কে নওগাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম বলেন, নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে ইডেন অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টের ভেতর গত ২৮ মে রাতে ওই রেস্টুরেন্টের নৈশ প্রহরী আতাউর রহমান ও শিতলের কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শিতলও তার সহযোগীরা চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে আহত অবস্থায় বাদল ও শিতলসহ কয়েকজন মিলে রেস্টুরেন্টের তিন তলায় নিয়ে একটি কক্ষে তালা মেরে চলে যায়।

তিনি বলেন, গ্রেফতারের পর বাদল সিআইডিকে জানিয়েছে, এই ঘটনার সময়ে ৪-৫ জন উপস্থিত ছিলো। তবে সে শিতল ছাড়া আর কারো নাম জানে না। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে আতিকুর রহমান খান ওরফে শিতলকে নওগাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয়।

শেখ নাজমুল আলম বলেন, প্রতিদিন নৈশপ্রহরী আতাউর রহমান ও রেস্টুরেন্টের সহকারী বাবুর্চি বাদল এক সঙ্গে ঘুমাতো। কিন্তু ঘটনার পরে শনিবার (২৯ মে) সকালে রেস্টুরেন্টের প্রধান বাবুর্চি সাইফুল ইসলাম রেস্টুরেন্টে এসে দেখেন সেখানে তালা ঝুলছে। অনেক ডাকাডাকি করার পরও রুমের দরজা না খোলার এক পর্যায়ে দরজার বাহিরে চাবি পরে থাকতে দেখতে পান তিনি। 

চাবি দিয়ে ঘর খুলে মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় নৈশপ্রহরী আতাউর রহমান মরদেহ দেখতে পান। ঘটনাটি দ্রুত রেস্টুরেন্টের কর্তৃপক্ষকে জানান তিনি। পরে থানায় খবর দেন।

এদিকে ঘটনার পর থেকে সহকারী বাবুর্চি মো. বাদল আত্মগোপনে চলে যায়। পরে তাকে সাভার উপজেলার আমিন বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতার হওয়া বাদলও হত্যাকান্ডের জড়িত ছিল। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাদল জানিয়েছে, নৈশ প্রহরী আতাউরকে শীতল ও তার সহযোগীরা পিটিয়ে গুরুতর আহত করার পর তিনিও তাদের তাদের তৃতীয় তলায় ধরে উঠাতে সহযোগীতা করেছেন।

হত্যাকান্ডের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিআইজি নাজমুল বলেন, হত্যার ঘটনায় বিশেষ কোনো একটি মোটিভ রয়েছে কি না সেটি আমরা তদন্ত করে জানাতে পারবো। এ ছাড়া এই হত্যায় জড়িত বাকিদের নাম পেয়েছি। তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

গ্রেফতার হওয়া আসামিদের নওগাঁ জেলার আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হবে। রিমান্ডে পেলে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনার পেছনের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে পারবো।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo