নুরুল আমিন হাসান : সাভারের বাইপেল থেকে আন্তঃজেলা পরিবহণে দুই জন লোকাল যাত্রী তোলার অভিযোগে বিনিময়ে পরিবহণের একটি বাসের ড্রাইভার, হেলপার ও সুপারভাইজারকে মারধর করে রক্তাক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে আশুলিয়া ক্লাসিক পরিবহণের একটি বাসের হেলপার ও চালককে।
উত্তরার আব্দুল্লাহপুরে মাছ বাজারের সামনে রোববার (৭ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে বিনিময় পরিবহনের ঢাকা মেট্রো ব-১৫-৫১৮৯ নম্বরের ড্রাইভার শাহ আলম (৩৮), হেলপার রুবেল মোল্লা (২০) ও সুপারভাইজার মুকুল (৩৫) আহত হন। পরবর্তীতে তাদেরকে টঙ্গী সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ সদস্যরা হেলপার মাসুদকে (১৩) আটক ও আশুলিয়া ক্লাসিক পরিবহণের ঢাকা মেট্রো ব-১২-০৮২৪ নম্বরের একটি বাস জব্দ করে। যদিও ড্রাইভার ও তার অন্যান্য সহযোগীরা পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিনিময় পরিবহণের একটি বাস এসে আব্দুল্লাহপুরে আসা মাত্র আশুলিয়া ক্লাসিক পরিবহণের একটি বাস দিয়ে বেরিকেড দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আশুলিয়া ক্লাসিক বাসের ড্রাইভার, হেলপারসহ আব্দুল্লাহপুরে থাকা ওই ব্যানারের প্রায় ১৫/২০ জন স্টাফরা বিনিময় পরিবহণের তিনজন স্টাফকে লাঠিসোঁটা দিয়ে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। পরবর্তীতে পুলিশ এসে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
তারা আরো বলেন, এ ঘটনায় আব্দুল্লাহপুর পুলিশ বক্সে গভীর রাত পর্যন্ত বিচার শালিশি চলে। বিচার শালিসির এক পর্যায়ে আশুলিয়া ক্লাসিক পরিবহণের ড্রাইভার হেলপারকে ২৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। যদিও ওই জরিমানার টাকার মধ্যে ১৪ হাজার টাকা পেয়েছেন ভুক্তভোগীরা। বাকি ৬ হাজার টাকা চলে গেছে পুলিশের পকেটে। আর পুলিশের সঅহসহযোগীতায় এসবের মিমাংসা করে আশুলিয়া ক্লাসিক পরিবহণের চিহ্নিত চাঁদাবাজ বাবুল ও শিপন।
বিনিময় পরিবহণের আহত চালক শাহ আলম বলেন- বাইপেল থেকে মহাখালীর দুই যাত্রী তুলেছিলাম। যার জের ধরে আশুলিয়া ক্লাসিকের স্টাফরা আমাদের গাড়ী তাদের গাড়ী দিয়ে বেরিকেড দিয়ে আটকায়। পরে তারা ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোঁটা দিয়ে ১৫-২০ জন আমাদের উপর হামলা করে টাকা পয়সা মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়। এতে আমার মাথায় কোপ লেগেছে, সুপারভাইজারকে এলোপাথাড়ি পেটানো হয়েছে। এছাড়াও হেলপারকে ১০/১৫ জন সারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি মেরে আহত করেছে।
এ বিষয়ে আশুলিয়া ক্লাসিক পরিবহণ ব্যানারের মালিক বলেন, আমার গাড়ীর যদি কোন ড্রাইবার হেলপার অন্যায় করে থাকে তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে। তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী করবে। আব্দুল্লাহপুরে মারামারির বিষয়ে আমি অবগত নই, ওইখানে যারা আছেন, তারাই বলতে পারবেন।
এ বিষয়ে আব্দুল্লাহপুরে ডিউটিরত উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সজিব ও বদরুল বলেন, মারামারির ঘটনা ঘটেছিল, যার কারণে আমরা দুইটি বাস ও আশুলিয়া ক্লাসিক পরিবহনের হেলপারকে আটক করেছিলাম। পরে তারা নিজেরাই মিমাংসা করে চলে গেছেন। কারও কোন অভিযোগ ছিল না।
মন্তব্য ( ০)