অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়, গ্রেপ্তার ৫

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: অভিযোগকারী যুবক নি‌জেই মাদকাসক্ত। সে ভিন্ন এলাকায় বসবাস করে। সেখান থেকে সে তার এক কাজিনকে সাথে নিয়ে অভিযোগে উল্লিখিত এলাকায় মাদক সেবন করতে এসেছিল। এই এলাকায় তাকে নতুন পেয়ে এলাকারই অন্য কিছু বিপথগামী ছেলে তাকে হেনস্থা করে এবং তাকে একটি কক্ষে আটকে রাখে।

তার কাছে যে টাকা পয়সা ছিল তা ছিনিয়ে নেয়। তাকে ছাড়িয়ে নিতে আরো টাকা আনতে বলে। সে প্রেক্ষিতে মোট পয়তাল্লিশ হাজার টাকা দিয়ে সে ও তার কাজিন ছাড়া পায়। টাকা আদায় করতে অভিযোগকারীকে মারধরও করা হয়। 

পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত ‘বাংলাদেশ পুলিশ ফেইসবুক পেইজের ইনবক্সে জানান, তিনি অপহৃত হয়েছিলেন। পরে তিনি ও তার পরিবার মুক্তিপণ দিয়ে সেখান থেকে মুক্তি পান।

এমন অভিযোগের ভিত্তিতে মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং নির্দেশনায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে দ্রুততম সময়ে আসামী অন্তর, নাইম, র‌নি, শওকত ও র‌কিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয়ে উপযুক্ত আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। 

পুলিশ সদরদপ্তরের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং'য়ের এআইজি মো. সোহেল রানা রোববার (১৬ মে) দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থেকে এক যুবক  তারা এ বিষয়ে পুলিশকে জানান। এক পর্যায়ে তারা মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকেও এ বিষয়ে অবহিত করেন। 

বার্তা পেয়ে মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং উল্লিখিত যুবক ও তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে। অ‌ভি‌যোগকারীসহ সং‌শ্লিষ্ট সক‌লের সা‌থে কথা ব‌লে ঘটনা সম্প‌র্কে সম্যক অবগত হয়। তারপর, এ বিষয়ে ওসি বেগমগঞ্জ থানাকে নির্দেশনা দেয় ত্বরিত ব্যবস্থা নিতে। তিনিও বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। 

এছাড়া, অভিযোগকারীও ভবিষ্যতে কখনই মাদক সেবন করবে না বা মাদকের সাথে কোনো প্রকার সম্পৃক্ততা রাখবে না এই মর্মে মুচলেকা প্রদান করেছেন। প্র‌য়োজ‌নে ঘটনার ভিক‌টিম ও অ‌ভি‌যোগকারী‌কে মাদকাস‌ক্তি থে‌কে ফেরা‌তে চি‌কিৎস‌কের সহায়তা নি‌তেও পরামর্শ দেয়া হয়।