ছবিঃ সংগৃহীত
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মিষ্টি মরিচ ক্যাপসিকাম চাষ করে এলাকার বেকার যুবকদের তাক লাগিয়ে দিয়েছে দিনাজপুর হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী রাহুল রায়।
এদিকে ঠাকুরগাঁওয়ের মাটি ও আবাহাওয়া দুটোই অনূকুলে থাকায় ফলনও হয়েছে ব্যাপক। বিদেশী এ ফসলের আবাদ স্বচক্ষে দেখতে দুর-দুরান্ত থেকে আসা মানুষজন ভীড় করছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পশ্চিম ফকদনপুর গ্রামে তার ক্যাপসিকাম বাগানে।
জানা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এই সময়টি কাজে লাগিয়ে দিনাজপুর হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ শিক্ষার্থী রাহুল রায় তার গ্রামে দেড় বিঘা জমিতে গ্রীন হাউস বানিয়ে বাণিজ্যিকভাবে বিদেশী সবজি ক্যাপসিকাম (মিষ্টি মরিচ) আবাদ করেন। এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় সাত লক্ষ টাকা। ঠাকুরগাঁওয়ের মাটি ও আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় কাঙ্খিত ফলনও হয়েছে। ইতিমধ্যে ক্যাপসিকাম বিক্রিও শুরু হয়েছে। প্রতি কেজি ক্যাপসিকাম বিক্রি হচ্ছে দেড়শত থেকে দুইশত টাকা দরে।
শিক্ষার্থী রাহুল রায় জানান, প্রথম দিকে একটু ভয় পাচ্ছিলাম এই ভেবে লোকসান হবে না তো। পরে ফলন আসার পর সে ভয় কেটে গেছে। আশা করি তিন থেকে চার মেট্রিক টন ক্যাপসিকাম পাবো। তিনি জানান, ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ সারা বিশ্বেই একটি জনপ্রিয় সবজি। বাংলাদেশেও এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। মিষ্টি মরিচের আকার ও আকৃতি বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। তবে সাধারণত ফল গোলাকার ও ত্বক পুরু হয়। মিষ্টি মরিচ আমাদের দেশীয় প্রচলিত সবজি না হলেও ইদানিং এর চাষ প্রসারিত হচ্ছে। দেশের বড় বড় অভিজাত হোটেল ও বিভিন্ন মার্কেটে এর চাহিদা রয়েছে। এছাড়া ক্যাপসিকাম বিদেশে রপ্তানীর সম্ভাবনাও প্রচুর। কারণ সারা বিশ্বে টম্যাটোর পরেই দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ সবজি হচ্ছে মিষ্টি মরিচ।
এলাকাবাসিরা জানায়, পড়ালেখার পাশাপাশি কৃষি কাজ করে যে লাভবান হওয়া যায় তা দেখিয়ে দিয়েছে রাহুল। সে আমাদের এলাকার গর্ব। তার এ বিদেশী মরিচের আবাদ এলাকার বেকার যুবকদের অনুপ্রাণিত করবে।
এদিকে উচ্চমূল্যের এ ফসলটির আর্থিক সম্ভাবনার কথা জানিয়ে চাষিদের ক্রমাগত উৎসাহ দিয়ে চলেছে জেলার কৃষি বিভাগ। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো: আবু হোসেন বলেন, জেলায় প্রথম বারের মতো দেড় বিঘা জমিতে বিদেশী ফসল ক্যাপসিকাম চাষ করা হয়েছে। এছাড়াও অনেকে বিভিন্ন বাসা বাড়ীর ছাদে ও আঙিনায় সৌখিনভাবে এ ফসল আবাদ করছে-আমরা তাদের বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করে চলেছি। এটি বাণিজ্যিকভাবে কৃষকেরা আবাদ করলে ভালো লাভবান হবেন বলেও জানান তিনি।
লাইফস্টাইল ডেস্ক:শরীরের সবচেয়ে বেশি নোংরা আর দুর্গন্ধময় অ...
বিনোদন ডেস্ক: সিনেমা ব্যবসা সফল হোক বা না হোক, বলিউড তারক...
অনলাইন ডেস্ক: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল...
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলের কনসার্ট ...
মন্তব্য ( ০)