• স্বাস্থ্য

রোজায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও তার সমাধানের উপায়

  • স্বাস্থ্য
  • ০৩ মে, ২০২১ ১০:৪৪:৪৫

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ পবিত্র রমজান মাসে দীর্ঘসময় রোজা থাকার কারনে আমাদের অনেকের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। এর ফলে বুকে জ্বালাপোড়া, পেটে ব্যথা, অস্বস্তি বোধ এমনকি বমি বমি ভাব ও হয়ে থাকে।

গ্যাস্ট্রিকের কারন গুলো হলো :

~ গ্যাস্ট্রিকের মূল কারন আমাদের খাদ্যাভ্যাস সঠিক না হওয়া।

~ সারাদিন রোজা থাকার পরে ইফতারে হঠাৎ করে অতিরিক্ত ভোজন করে ফেলা।

~ অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার, অতিরিক্ত মসলা যুক্ত খাবার গ্রহন।

~ অতিরিক্ত পরিমান চিনি ও লবনযুক্ত খাবার খাওয়া।

~ খাবার দ্রুত খাওয়া এবং ভালো মতো চিবিয়ে না খাওয়া।

~ পর্যাপ্ত পানি গ্রহন না করা।

~ অনেকে সেহেরী না করেই রোজা করে। দীর্ঘ সময় না খাওয়ার কারনে গ্যাস্ট্রিক হতে পারে।

সমাধান :

* গ্যাস্ট্রিক সমস্যা সমাধানের জন্য রোজায় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারকে প্রাধান্য দেওয়া। ফাইবার বা আঁশ সমৃদ্ধ খাবার গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও হজমে সাহায্য করে। খেঁজুর, মৌসুমি বিভিন্ন ফল, শাকসবজি, লাল চালের ভাত, লাল আটার রুটি হতে পারে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের ভালো উৎস।

* অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার, চিনিজাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।কারন এগুলো খাবার হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে। চিনির শরবত না খেয়ে বিভিন্ন ফলের শরবত (অবশ্যই চিনিছাড়া) খাওয়া যেতে পারে।

* ইফতারে সব সময় হালকা খাবারকে প্রাধান্য দিতে হবে। সারাদিন না খাওয়ার পরে ইফতারে অতিরিক্ত ভোজন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

* কোনো অবস্থাতে সেহেরী বাদ দেওয়া যাবেনা। যাদের সেহেরীতে খেতে সমস্যা হয় বা খেতে পারেন না তারা অন্তত্য ১ গ্লাস দুধ, খেঁজুর ও পানি খেয়ে নেবেন। সেহেরী খাওয়া পর পরই শুয়ে পরা যাবে না। কিছু সময় হাঁটতে হবে। এতে খাবার হজমে সাহায্য করে।

* ইফতার থেকে সেহেরী পর্যন্ত ৮-১০ গ্লাস বা ২-২.৫ লিটার পানি গ্রহন করতে হবে।

* জিরা, তুলসি পাতা,আদা পেটের জন্য ভালো। হালকা গরম পানির সাথে জিরা গুড়া মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। তুলসি পাতার রস বা তার সাথে মধু মিলিয়ে খেলেও গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধান সম্ভব।এগুলো খাবার হজমে সাহায্য করে।

লেখক : সাবহেনিয়া তাসনিম রূপন্তি, অফিসিয়াল ভলান্টিয়ার, নিউট্রিপ্রেনার বাংলাদেশ.

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo