• শিক্ষা

আগামী ৭ মে আর্মড ফোর্সেস মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা

  • শিক্ষা
  • ২৮ এপ্রিল, ২০২১ ১৪:১০:২৮

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে স্থগিত হওয়া আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ ও ৫টি আর্মি মেডিকেল কলেজের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৭ মে অনুষ্ঠিত হবে। এ দিন সকাল ১০টা থেকে এ পরীক্ষার অনুষ্ঠিত হবে। আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের কম্যান্ড্যান্ট স্বাক্ষরিত সাম্প্রতিক এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, আগামী ৯ এপ্রিল এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে চলতি মাসের শুরুর দিকে করোনা সংক্রমণের বিস্তার রোধে সরকারের সার্বিক কার্যাবলী ও চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে শেষ মুহূর্তে এসে তা স্থগিত করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

গত ৫ এপ্রিল আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, করোনা সংক্রমণের বিস্তার রোধে সরকারের সার্বিক কার্যাবলী ও চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে আগামী ৯ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ (এএফএমসি) এবং পাঁচটি আর্মি মেডিকেল কলেজের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ এমবিবিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তির লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষার নতুন নির্ধারিত তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে।

এ দিকে, মাসব্যাপী লকডাউনের পর করোনার সংক্রমণ কিছুটা কমায় এবং সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ৭ মে এই পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পরীক্ষার মান বণ্টন ও বাছাই প্রক্রিয়া

আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ একটি। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে এই মেডিকেল কলেজের অবস্থান। এর স্টুডেন্ট ক্যাটাগরি দুই ধরণের- AFMC ক্যাডেট ও AMC ক্যাডেট।

AMC & AFMC এর মধ্যে পার্থক্য কি?

AMC মানে হলো Army Medical Core. সবাই যেটা ভুল করে সেটা হলো আর্মি মেডিকেল কলেজ। হ্যাঁ, আর্মি মেডিকেল কলেজ আছে ৫টি, সেটা ভিন্ন। আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ এ যারা AMC ক্যাডেট হিসাবে চান্স পাবে তারা কোর্স শেষে সরাসরি সেনাবাহিনীতে যোগদান করবে। এখানে চান্স পাওয়াটা অনেক কঠিন কারণ ISSB তে কোয়ালিফাইড হতে হয়। অন্যদিকে AFMC ক্যাডেট দের এসব ঝামেলা নেই ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পেলেই হবে।

পরীক্ষার মানবণ্টন

লিখিত পরীক্ষায় (MCQ পদ্ধতি)-১০০ নম্বর। বিষয়ভিত্তিকভাবে যথাক্রমে পদার্থবিদ্যা ৩০, রসায়নবিদ্যা ৩০, জীববিদ্যা ৩০, ইংরেজি ৫, সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি) ৫। তবে লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য ০.২৫ নম্বর কর্তন করা হবে। পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে নূন্যতম ৪০ নম্বর পেতে হবে। ফলে লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম নম্বর প্রাপ্তরা অকৃতকার্য বলে গণ্য হবেন। শুধুমাত্র কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

প্রার্থী মূল্যায়ন পদ্ধতি

এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান এর জিপিএ এবং ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে প্রার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এরমধ্যে এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-এর ১৫ গুণ ৭৫ নম্বর (সর্বোচ্চ), এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-এর ২৫ গুণ ১২৫ নম্বর (সর্বোচ্চ) এবং এমসিকিউ পদ্ধতিতে লিখিত পরীক্ষা ১০০ নম্বর- এই তিন ক্যাটাগরিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। মোট নম্বর ৩০০।

এছাড়া পরীক্ষার্থী যদি পূর্বে মেডিকেল/ডেন্টাল পরীক্ষা দিয়ে থাকে সে ক্ষত্রে তার ৫ মার্ক এবং পরীক্ষার্থী যদি মেডিক্যাল/ডেন্টালের ছাত্র বা ছাত্রী হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে তার ৭.৫ মার্ক কাটা যাবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo