• বিশেষ প্রতিবেদন
  • লিড নিউজ

ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দর চালু হয়নি  ৪১ বছরেও

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • লিড নিউজ
  • ০৭ এপ্রিল, ২০২১ ১১:২২:০৯

ছবিঃ সিএনআই

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ১৯৪০ সালের দিকে ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার শিবগঞ্জ এলাকায় একটি বিমানবন্দর নির্মাণ করা হয়। ১৯৭৮-৭৯ সালের দিকে এ বিমানবন্দরটি বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন পড়ে থাকার পর চালুর লক্ষ্যে ১৯৯৪ সালে বিমানবন্দরটি সংস্কার করা হয়। পরে সেটি আর চালু হয়নি। ১৯৭৭-১৯৮০ সাল পর্যন্ত ঢাকা থেকে সরাসরি ফ্লাইট যাতায়াত করেছে। তৎকালীন আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে বিমানের লোকসান হয়েছিল।

যা খুব স্বাভাবিক ছিল। অতঃপর বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর মাঝে ৪১ বছর গড়িয়েছে, অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। বন্দরটি চালু হওয়া এখন সময়ের দাবী। সৈয়দপুর বিমানবন্দরের প্রায় ৮০% যাত্রী ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় এবং দিনাজপুরের। ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দর থেকে ১০-১৫ মিনিটে ভারতের বাগডোগরা বিমানবন্দরে অবতরণ করে, ট্রানজিট ফ্লাইটে বেঙ্গালুরু সহ আশেপাশের কয়েকটি দেশে যাওয়া সম্ভব। অথচ একটি সময়োপযোগী আন্তরিক সিদ্ধান্তের জন্য বঞ্চিত হচ্ছি ৩ টি জেলার মানুষ। ব্যাহত হচ্ছে অর্থনীতি। ২০১৬ বিমানবন্দরটি চালু করার কথা থাকলেও আর চালু হয়নি। সেসময় বর্তমান সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী ছিলেন রাশেদ খান মেনন।এখানে এসে তিনি ঠাকুরগাঁও এর বিমানবন্দরের  অবকাঠামো পরিদর্শন করেন।

পরে সেখানে তিনি বিমানবন্দর চালু করার বিষয়ে নানা পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। সভায় ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেন, ঐ সময় ২০১৬ ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সাংসদ ইয়াসিন আলী, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মূকেশ চন্দ্র বিশ্বাস, পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।  রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘ব্রিটিশ আমলে আড়াই’শ একর জমির ওপর নির্মিত এ বিমানবন্দরে বিমান চলাচলের সব ধরনের অবকাঠামো রয়েছে। এটি চালু করতে তেমন কোনো খরচ হবে না। এটি চালু করার জন্য যা দরকার, আমরা তিন মাসের মধ্যে সে কাজ শুরু করব।’

সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দরে রূপান্তর করার অনুমতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পঞ্চগড় স্থলবন্দর চালু হলে এ এলাকায় বিমান লাভবান হবে। প্রসঙ্গত, ১৯৪০ সালের দিকে সদর উপজেলার শিবগঞ্জ এলাকায় একটি বিমানবন্দর নির্মাণ করা হয়। ১৯৭৮-৭৯ সালের দিকে এ বিমানবন্দরটি বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন পড়ে থাকার পর চালুর লক্ষ্যে ১৯৯৪ সালে বিমানবন্দরটি সংস্কার করা হয়। পরে সেটি আর চালু হয়নি। বর্তমানে বিমানবন্দরটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে।

 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo