• লিড নিউজ
  • জাতীয়

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান উন্নয়নের পূর্বশর্ত: ধর্ম উপদেষ্টা ‎

  • Lead News
  • জাতীয়

ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্কঃ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকে উন্নয়ন ও টেকসই সমাজের পূর্বশর্ত এমন মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

‎রাজধানীর নীলক্ষেতে জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির (এনএপিডি) অডিটেরিয়ামে প্রজেক্ট ম্যানেজার ও এক্সিকিউটিভদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

‎হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক বাস্তবায়িত মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের আওতায় এ প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হয়।

‎ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, স্মরণাতীত কাল থেকে এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য পরিবেশ বিরাজমান।  তবে সমাজের কিছু মানুষ নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করেছে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সরকার সকলের নিরাপত্তায় বদ্ধপরিকর। তিনি বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মাঝে একতা সুসংহত করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান। 

‎ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও সুবিধাবঞ্চিত নারী-শিশুদেরকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় আনতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের পাশাপাশি মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে নৈতিক ও  আধুনিক শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।

‎এ প্রকল্পসমূহকে যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য তিনি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করেন। এছাড়া, প্রকল্পের অর্থ যাতে যেনতেনভাবে ব্যয় না হয় সে বিষয়ে সকলকে সোচ্চার হবার আহ্বান জানান।

‎ড. খালিদ বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেকেরই একটি বিশেষ দলের প্রতি টান থাকতে পারে। কিন্তু আমরা যখন কোনো দায়িত্ব নেব তখন নিরপেক্ষভাবে কাজ করব; পেশাদারিত্ব, সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’ দেশকে উন্নত করতে হলে দলবাজি ও গ্রুপিংয়ের মানসিকতা পরিহার করার আহ্বান জানান তিনি।

‎এনএপিডির মহাপরিচালক (সিনিয়র সচিব) সিদ্দিক জোবায়েরের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে এনএপিডির অতিরিক্ত মহাপরিচালক সায়মা আফরোজ এবং এনএপিডির উপপরিচালক ও কোর্স পরিচালক আবেদা সুলতানা বক্তৃতা করেন।

‎পাঁচ দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগ, আইএমইডি, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, উপপ্রকল্প পরিচালক ও সহকারী প্রকল্প পরিচালকসহ মোট ২৫ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

‎উল্লেখ্য, জিওবির অর্থায়নে ৩৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় দেশের ৭ হাজার ৪০০টি মন্দিরে প্রাক-প্রাথমিক, বয়স্ক ও শিশু শিক্ষাকেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে।

মন্তব্য (০)





  • company_logo