ছবিঃ সংগৃহীত
নিউজ ডেস্কঃ যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখযোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি সবার বুকে থাকবেন বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে হাদির জানাজা পূর্ব বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ওসমান হাদি আমাদের ও বাংলাদেশিদের বুকের ভেতর আছেন। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন তিনি সবার হৃদয়ে থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, প্রিয় ওসমান হাদি, তোমাকে আমরা বিদায় দিতে আসিনি। তুমি আমাদের বুকের ভেতর আছ। এটা কেউ কখনও সরাতে পারবে না।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ওসমান হাদির মন্ত্র ছিল বল বীর চির উন্নত মম শির। তিনি আমাদের মাথা নত না করার মন্ত্র দিয়ে গেছেন। এই মন্ত্র আমাদের অন্তরের মধ্যে থাকবে।
তিনি বলেন, হাদির কথা আমরা পূরণ করব, এই ওয়াদা করছি। পরে দুপুর আড়াইটায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে হাদির জানাজা শুরু হয়। এতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।
এর আগে, আজ সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তার মরদেহ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘর থেকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়। এ সময় হাদির স্বজন, সহযোদ্ধা ও সহকর্মীরা সঙ্গে ছিলেন।
পরে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ময়নাতদন্ত শেষে ফের হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে শেষ গোসল করানো হয়। গোসল শেষে তার মরদেহ জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজার জন্য নিয়ে আসা হয়।
এদিকে, শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে আজ একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে। দিনটি উপলক্ষে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি, বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকছে।
শরিফ ওসমান হাদি ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের একজন সম্মুখ সারির নেতা ছিলেন। তিনি ইনকিলাব মঞ্চ নামে একটি সংগঠনের মুখপাত্র ও আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন।
গত ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারণাকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।
এরপর পরিবারের ইচ্ছায় তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সবশেষ গত ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয় ওসমান হাদিকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর তিনি মারা যান। পরে শুক্রবার তার মরদেহ ঢাকায় আনা হয়। জানাজা শেষে তাকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে সমাহিত করা হবে।
নিউজ ডেস্কঃ কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে ইনকিলাব মঞ্চে...
নিউজ ডেস্কঃ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, প্রিয় ওস...
নিউজ ডেস্কঃ জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ইনকিলাব মঞ্চের ম...
নিউজ ডেস্কঃ জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় নেওয়া হয়েছে ইনকি...
নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বীর-...

মন্তব্য (০)