দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুর ফুলবাড়ী - পাবর্তীপুর ( ৫) আসনে মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবির আন্দোলনে রাস্তায় ঢল নামছে তৃণমূলের ক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীদের। গতকাল সোমবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফুলবাড়ী উপজেলার নিমতলী এলাকায় জোড়া ব্রীজের কাছে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন তারা। এতে অনুষ্ঠানস্হল উপচানো ঢল নামে নারী পুরুষ নেতাকর্মীদের। এসময় উপস্হিত নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ মিছিল শ্লোগানের কারনে দিনাজপুর গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহা সড়কে দুই ঘন্টা যানবাহন চলাচল স্হবির হয়ে পড়ে। অঘোষিত অবরোধের পরিস্হিতি তৈরি হয় সভা স্হলের আশপাশে।
বিএনপির উপর মহল থেকে চাপিয়ে দেওয়া ব্যারিষ্টার এ.কে.এম কামরুজ্জামানকে প্রত্যাহার করে দীর্ঘদিন ধরে দলকে নির্বাচনী এলাকায় সুসংগিত করার ত্যাগী নেতা এ.জেড.এম রেজোয়ানুল হককে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এর দুদিন আগে পাবর্তীপুর উপজেলার কেন্দ্রীয় বাস টার্মনাল মাঠে হাজার হাজার নারী পুরুষ নেতাকর্মীদের অংশ গ্রহনে বড় ধরনের বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন তারা।
আন্দোলনকারিদের দাবি ৩২ বছর আগে নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির ভোট ছিল মাত্র ১২ হাজার। এলাকায় দলের হাল ধরে ১৯৯৫ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে ধানের শীষে ১ লাখ ৩২ হাজার ভোট পেয়ে ভোট পাওয়ার ক্ষেত্রে দেশে তৃতীয় অবস্হান অর্জন রেকর্ড গড়েছিলে এ.জেড.এম রেজোয়ানুল হক। সেই নেতাকে বাদ দিয়ে এলাকার নেতাকর্মীদের কাছে অপরিচিত ব্যক্তিকে প্রার্থী ঘোষণা করায় মেনে নিতে পারছেন তারা । গত ২০ বছরের মধ্যে এলাকায় যাকে নেতাকর্মীরা পাশে পায়নি। দুঃসময়ে সহানুভূতি হয়রানীমূলক মামলায় আইনি লড়াইয়ে পাশে দাড়াননি এমন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেননা তারা।
মনোনয়ন প্রত্যাশি নেতা এজেএম রেজোয়ানুল হক বলেন, ' ৯৫ নির্বাচনে তার ধানের শীষ মার্কার বিপরীতে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে দাড়িপালা মার্কায় প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন বর্তমানে মনোনয়ন পাওয়া কামরুজ্জামানের পিতা। তিনি জামায়াত ঘরের ওয়ারিশ।
নেতাকর্মীদের অভিযোগ জামায়াত নেতার ছেলে হিসেবে জামায়াতের অর্থায়নে বিদেশে ব্যারিষ্টারি লেখাপড়া করেছিলো কামরুজ্জামান।সুদুর প্রসারি পরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে তারেক রহমানের আইনজীবি বানিয়ে বিএনপিতে পুশ করেছে জামায়াত। তাকে মনোনয়ন দেওয়ার ঘোষনা প্রচারের সাথে সাথে মিষ্টি বিতরন করেছে স্হানীয় জামায়াত নেতারা। একই আসনে জামায়াতের মনোনিত প্রার্থী আর কামরুজ্জামান একই পরিবার ভুক্ত। তিলে তিলে গড়ে তোলা বিএনপির অর্জন তারা জামায়াতের হাতে ছেড়ে দিয়ে আসনটি হারাতে চাননা।
কয়েকজন ক্ষুদ্ধ কর্মী অভিমত দল মনোনয়ন পরিবর্তন না করলে এজেড এম রেজোয়ানুল হককে সতন্ত্র প্রার্থী করে হলেও বিজয়ী হয়ে আসনটি বিএনপির ঘরে তুলে দিতে চান তারা।
এছাড়াও মনোনয়ন পরিবর্তনের একই দাবিতে অনুসারি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে পৃথক ভাবে আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করেছেন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি আরেক নেতা জাকারিয়া বাচ্চু।
কোন ভাবেই এ.কেএম কামরুজ্জামানকে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে মেনে নেওয়া হবেনা বলে ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনে জড়িত তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। সড়ক অবরোধসহ অচলাবস্থা কর্মসূচির ডাক দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তারা।
অন্যদিকে ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ খুরশিদ আলম মতিসহ সিমিত সংখ্যক নেতাকর্মী মাঠে নেমেছেন মনোনয়ন পাওয়া এ.কে.এম কামরুজ্জামানের পক্ষে।
মন্তব্য (০)