ছবিঃ সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘আমরা অনেক সময় জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কথা বলে থাকি, তবে অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার ও অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার রোধে জিরো টলারেন্স নিশ্চিতে আমাদের কাজ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমদানি ও রপ্তানিতে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ডব্লিউটিও নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।’
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ব্রিটিশ হাইকমিশন আয়োজিত ‘ফ্লেমিং ফান্ড লেগাসি ইন বাংলাদেশ: ট্যাকলিং এএমআর থ্রু ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচ’ -শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিশেষ করে এসডিজি-২ বা ক্ষুধা দূরীকরণ নিশ্চিত করতে আমাদের দায়িত্ব শুধু খাদ্য উৎপাদনে সীমাবদ্ধ নয়। খাদ্য উৎপাদন ও প্রাণিসম্পদ খাতে অ্যান্টিবায়োটিক এবং পেস্টিসাইড ব্যবহারের সঠিক নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করাও অত্যন্ত জরুরি।
উপদেষ্টা বলেন, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) মোকাবিলার সবচেয়ে কার্যকর উপায়। সস্তা পোলট্রি উৎপাদনের জন্য অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে দরিদ্র জনগোষ্ঠী।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্য সরকারের ফ্লেমিং ফান্ড ২০২০ সাল থেকে ওয়ান হেলথ পদ্ধতির মাধ্যমে বাংলাদেশের এএমআর নজরদারি শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা দিয়ে আসছে। এই উদ্যোগের ফলে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষক, ভেটেরিনারিয়ান এবং মাঠ কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও দায়িত্বশীল অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ব্যবহারে সহায়তা করছে।
উপদেষ্টা ওয়ান হেলথ কার্যক্রমের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, মানব স্বাস্থ্য, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ ও কৃষি— সব ক্ষেত্রকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। কেউ কেন্দ্রে নয়; সবাই সমানভাবে অংশগ্রহণ করবে। নিরাপদ খাদ্য, স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে তিনি সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনের উপ-উন্নয়ন পরিচালক মার্টিন ডসন।
বাংলাদেশে ফ্লেমিং ফান্ডের প্রধান সাফল্য নিয়ে উপস্থাপনা করেন ফ্লেমিং ফান্ড কান্ট্রি গ্রান্ট টু বাংলাদেশের (এফএফসিজিবি) টেকনিক্যাল লিড ড. মো. নূরে আলম সিদ্দিকী।
এফএফসিজিবি’র টিম লিড প্রফেসর শাহ মনির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনের উপ-হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মো. আবু জাফর, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বাংলাদেশে নিযুক্ত কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ জিয়োকুন শি এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ডা. মো. শামীম হায়দার।
নিউজ ডেস্ক : বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা পুনঃতদন্তে গঠিত জাতীয় ...
নিউজ ডেস্কঃ ব্যবসায়ীরা তেলের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে বাণিজ...
নিউজ ডেস্কঃ এসএসএফ এর নিরাপত্তা প্রটোকল অনুযায়ী ৪ ডিসে...
নিউজ ডেস্কঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এ...
নিউজ ডেস্কঃ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব কার্যক্রম...

মন্তব্য (০)