• জাতীয়

রোহিঙ্গাদের জন্যে আবারও চাল সহায়তা দক্ষিণ কোরিয়ার

  • জাতীয়

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ দক্ষিণ কোরিয়া রোহিঙ্গাদের নতুন করে চাল সহায়তা দিয়েছে। বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এ সহায়তাকে স্বাগত জানিয়েছে।

‎এদিকে চলমান এ মানবিক সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেছে সিউল।

‎আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হস্তান্তর অনুষ্ঠানটি মঙ্গলবার চট্টগ্রামের অলংকারে ডব্লিউএফপির গুদামে অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত ইয়ং সিক পার্ক এবং ডব্লিউএফপির কান্ট্রি ডিরেক্টর ডম স্ক্যালপেলি।

‎অনুষ্ঠানে কোরিয়ার কৃষকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়, যাদের কঠোর পরিশ্রমে এ সহায়তা সম্ভব হয়েছে। ঘটনাক্রমে দিনটি কোরিয়ার ‘ফার্মার্স ডে’র সঙ্গেও মিলে গেছে।

‎এটি দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বিতীয় চাল সহায়তা। দেশটির কৃষি, খাদ্য ও গ্রামীণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ২০ হাজার ২৬৫ মেট্রিক টন চাল দেওয়া হয়েছে। এর আগে ২০২৪ সালে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ১৫ হাজার মেট্রিক টন চাল দিয়েছিল দেশটি।

‎চালের পাশাপাশি মন্ত্রণালয় ভিটামিন ও খনিজসমৃদ্ধ পুষ্টিকর চালের খুদও দিয়েছে। এতে রয়েছে ভিটামিন ‘এ’, ‘বি১’, ‘বি১২’, জিঙ্ক, আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড।

‎স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সাধারণ চালের সঙ্গে এই খুদগুলো ১:১০০ অনুপাতে মিশিয়ে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

‎ডব্লিউএফপির তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের অনুদান দিয়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে প্রায় দুই মাস খাওয়ানো যাবে। এটি কোরিয়ার বৈশ্বিক সহায়তার অংশ, যার আওতায় ডব্লিউএফপির মাধ্যমে বিশ্বের ১৭টি দেশে মোট ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল দেওয়া হচ্ছে।

‎রাষ্ট্রদূত পার্ক বলেন, ‘রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ক্রমবর্ধমান চাহিদা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার ও ডব্লিউএফপির সঙ্গে কাজ করতে আমরা অঙ্গিকারবদ্ধ।’

‎সংকটের নবম বছরে পদাপর্ণের এ সময়েও ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থান করছে। ২০২৪ সালের শুরুর দিক থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নতুন সংঘাতের কারণে আরও ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

‎এদিকে ২০২৫ সালের ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রায় ৪ লাখ ৪৬ হাজার, অর্থাৎ ৪০ শতাংশ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে পারেন বলে আশংকা করা হচ্ছে। এর মধ্যে জরুরি পর্যায়ের খাদ্য সংকটে রয়েছে প্রায় ২ লাখ ২৩ হাজার রোহিঙ্গা।

‎ডব্লিউএফপি সতর্ক করেছে, নতুন তহবিল না এলে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটতে পারে। মানবিক সহায়তার অর্থায়ন ক্রমেই কমতে থাকায় ২০২৬ সালের এপ্রিল থেকেই জীবনরক্ষাকারী কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

মন্তব্য (০)





image

‎শতবর্ষী রামমালা গ্রন্থাগারের দুষ্প্রাপ্য পুথিসমূহের ডিজি...

নিউজ ডেস্কঃ বাংলার শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির এক অমূল্...

image

‎বিলুপ্ত সংসদের ৩১টি গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর

নিউজ ডেস্কঃ বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৩১টি গাড়ি জনপ্র...

image

‎সৌদি আরবে দক্ষ কর্মীর চাহিদা পূরণে কাজ করছে সরকার: ড. নে...

নিউজ ডেস্কঃ দক্ষ কর্মী পাঠানোর মাধ্যমে সৌদি আরবের 'ভিশন-...

image

রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় গুলি করে এক ব্যক্তিকে হত্যা

নিউজ ডেস্কঃ রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় মামুন শিকদার (৩৯) নাম...

image

হাইকোর্টে স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া ২১ বিচারপতির শপথ গ্রহণ

নিউজ ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী নিয়ো...

  • company_logo