
ছবিঃ সংগৃহীত
নিউজ ডেস্কঃ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড দেশের শিল্প কারখানা, আমদানি-রফতানি খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করে জাতীয় অর্থনীতিকে অচলের একটি নীল নকশার অংশ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ঢাকা কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।
রোববার (১৯ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আশঙ্কার কথা জানান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শনিবার অগ্নিকাণ্ডে বিমানবন্দরের আমদানি পণ্যের গুদাম মারত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেখানে বেশিরভাগ পণ্য পুড়ে গেছে। তবে আগুন লাগার পর সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ও ফায়ার সার্ভিস যথাসময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নেভানোর কার্যক্রম শুরু করতে ব্যর্থ হয়। তাদের এই বিলম্ব ও সমন্বয়ের অভাবে অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি সংঘটিত হয়েছে।
বর্তমানে গুদামটি সম্পূর্ণরূপে ব্যবহারের অনুপযোগী অবস্থা রয়েছে এবং পরিপূর্ণ সংস্কার ব্যতীত সেখানে আমদানি কার্যক্রম পুনরায় শুরু করা সম্ভব নয়। এটি কেবল একটি দুর্ঘটনা নয় বরং পরিকল্পিতভাবে দেশের শিল্পকারখানা, আমদানি-রফতানি খাত এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ক্ষতিগ্রস্ত করে জাতীয় অর্থনীতিকে অচল করার একটি নীলনকশার অংশ হতে পারে। এমন আশঙ্কা বাংলাদেশের বাণিজ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য গভীর হুমকি সৃষ্টি করেছে।
এ সময় পাঁচটি দাবি জানিয়েছে ঢাকা কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। এগুলো হলো:
ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের লক্ষ্যে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করা।
তদন্তের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
বিমানবন্দর এলাকায় নিরাপত্তা ও অগ্নি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কার্যকারিতা পুনর্মূল্যায়ন করে প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং আধুনিকায়ন নিশ্চিত করা।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ক্ষতি পূরণের বিষয়ে যথাযথ পদক্ষে নেয়া।
জরুরি ভিত্তিতে নির্মাণাধীন নতুন আমদানি পণ্যের গুদাম অস্থায়ীভাবে চালু করে আমদানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা করা, যাতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও পণ্য সরবরাহ প্রক্রিয়া ব্যাহত না হয়।
ঘটনাটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম ব্যাহত করার মাধ্যমে দেশটিকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিগণিত করার কোনো পরিকল্পিত অপচেষ্টার অংশ কি না তাও বিস্তারিতভাবে খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
গত শনিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। একে একে ৩৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। যোগ দেয় সেনা, নৌবাহিনী ও বিজিবি। রাত সোয়া ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এদিকে, আগুনের কারণে সাত ঘণ্টা ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকে। কয়েকটি ফ্লাইট সিলেট এবং চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আগুনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে রাত ৯টার দিকে বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা শুরু হয়। তবে রোববারও উল্লেখযোগ্য ফ্লাইট ছাড়তে হচ্ছে বিলম্বিত সময়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন বিদেশগামী যাত্রীরা। বিশেষ করে ট্রানজিট যাত্রীদের বিড়ম্বনা চরমে।
নিউজ ডেস্ক : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আগুন ...
নিউজ ডেস্ক : ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘট...
নিউজ ডেস্ক : কিশোরগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিট কমান্ডার...
নিউজ ডেস্ক : সাংবিধানিক আইন ও বিধি অনুযায়ী প্রতীকের তালিকায় ...
নিউজ ডেস্ক : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভ...
মন্তব্য (০)