
ছবিঃ সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক : হিজরি ১৪৪৭ সালের ১২ রবিউল আউয়াল আজ। দেশজুড়ে যথাযথ ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)।
আরব সমাজের ‘আইয়ামে জাহেলিয়া’ বা অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তি ও আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহ তা’আলা আজকের দিনেই রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে পৃথিবীতে শেষ নবী ও রাসূল হিসেবে পাঠান। যার জীবনাদর্শই (সুন্নাহ) পরবর্তীতে হয়ে ওঠে ইসলামের মূল ভিত্তি, মুসলিম উম্মাহর পাথেয়।
৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এ দিনে মানবজাতির রহমত স্বরূপ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আরবের মক্কা নগরের সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশের আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্তালিবের ঘরে, মা আমিনার কোলে জন্ম নেন। প্রতি হিজরি বর্ষের তৃতীয় মাস ‘রবিউল আউয়ালের’ ১২ তারিখটি তাই মুসলমানদের ঘরে ঘরে নবী মুহাম্মদের জন্মক্ষণকে পবিত্র দিন হিসেবে পালন করা হয়।
এদিনে মুসলিম উম্মাহকে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেছেন, মুসলিম উম্মাহ ভয়াবহ সময় পার করছে। এ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য প্রিয় নবীর জীবনাদর্শ অনুসরণ করতে হবে।
ফেসবুক পোস্টে মিজানুর রহমান আজহারী লেখেন, মুসলিম উম্মাহ স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ সময়টুকু পার করছে। নৈতিক অবক্ষয়, শিক্ষা ও সাহিত্যে অনগ্রসরতা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত পশ্চাদপসরণ, অপসংস্কৃতির আধিপত্য ও অর্থনৈতিক অসমতা সর্বোপরি আধুনিকায়নের মোড়কে নিজেদের স্বকীয়তা ও আপন আত্মমর্যাদাবোধও খুইয়ে বসেছে।
জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা লেখেন, মতাদর্শিক বিভেদ, ইন্টারনেট কেন্দ্রিক জীবনযাপন এবং অবাধ ভোগবিলাসের অসুস্থ প্রতিযোগিতার ফলে তারা নিজেদের আত্মপরিচয় প্রায় ভুলতে বসেছে।
কারণটা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট— নৈতিক শিক্ষার অভাব অর্থাৎ, প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম এর সুমহান আরশচুম্বী জীবনাদর্শ থেকে শিক্ষাগ্রহণ না করা। অথচ আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন— “রাসূল (ﷺ) -এর মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ।” [আহযাব : ২১]
তিনি লেখেন, জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ কথা সুবিদিত যে, রাসূল (ﷺ) শুধু একজন নবী নন, বরং তিনি ছিলেন একাধারে দক্ষ সমাজসেবক, মহান সংস্কারক, সর্বোত্তম স্বামী, আদর্শবান নেতা এবং বিশ্বস্ত বন্ধু। আল্লাহ তাআলা নিজেই রাসূল (ﷺ) -এর চারিত্রিক উৎকৃষ্টতার সাক্ষ্য দিয়েছেন— “নিশ্চয়ই আপনি মহান চরিত্রে অধিষ্ঠিত আছেন।” [সূরা আল-কলম : ৪]
সুতরাং, রাসূল (ﷺ) -এর জীবনী অধ্যয়ন করে প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করতে পারলে খুব সহজেই জাতিকে সার্বিক ক্ষতি ও সামগ্রিক অবক্ষয় থেকে মুক্তি দেয়া সম্ভব।
অতএব, ব্যক্তিজীবনে সিরাতচর্চার পাশাপাশি সমাজের প্রতিটি পরতে সিরাতের দীপ্যমান আলোকবিভা ছড়িয়ে দেয়ার বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই Hasanah Foundation এর সিরাত নিয়ে ক্ষুদ্র প্রয়াস— “সিরাত অলিম্পিয়াড ২০২৫”।
নিউজ ডেস্কঃ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জ...
নিউজ ডেস্কঃ এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে আদাল...
নিউজ ডেস্কঃ ১৫ দিনের মধ্যে আলুর দাম আরও বাড়বে বলে জানিয়...
নিউজ ডেস্কঃ তুরাগ নদের ১৭ কিলোমিটার ড্রেজিং করার টাকা বিশ্ব ...
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ-জাতিসংঘের প্রকল্প পরিষেবা অফ...
মন্তব্য (০)