• লাইফস্টাইল

ঘন ঘন নাক খোঁটার অভ্যাসে বাড়তে পারে অ্যালঝাইমারের ঝুঁকি

  • লাইফস্টাইল

প্রতীকী ছবি

নিউজ ডেস্ক : নাকে আঙুল দেওয়া অনেকেই স্বাভাবিক অভ্যাস মনে করেন। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, এটি কেবল কু-অভ্যাস নয়—বরং দীর্ঘদিন ধরে এই অভ্যাস চালিয়ে গেলে মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, ঘন ঘন নাক খোঁটার অভ্যাস অ্যালঝাইমারসহ ডিমেনশিয়ার মতো কঠিন স্নায়ুরোগের কারণ হতে পারে।

গবেষণায় কী জানা গেছে?

অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটি ও গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানিয়েছেন—ঘন ঘন নাক খোঁটার ফলে আমাদের নাকের টিস্যু পাতলা হয়ে যায়। ফলে খুব সহজেই জীবানু আমাদের মস্তিষ্কে পৌঁছাতে পারে। এই গবেষণায় জানা গেছে, ডিমনেশিয়া রোগীদের মস্তিষ্কে একটি বিশেষ ধরণের প্রোটিন জমা বাঁধছে। ডাক্তারদের মতে টাও নামের এই প্রোটিন কিছু প্যাথোজেনের মাধ্যমে শরীরে ঢোকে। অর্থাৎ শরীরের বাইরে থেকে কোনো না কোনো জিনিস থেকে প্যাথোজেনের মাধ্যমে ব্রেনে ঢোকে। ভাবছেন ঢোকার পথ কোথায়? ডাক্তারদের মতে নাকই এর জন্য দায়ী।  নাক দিয়ে সোজা মস্তিষ্কে পৌঁছায় এবং নিউরোইনফ্লেমেশন অথবা স্নায়ুর প্রদাহ ঘটায়। এই কারণেই ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়ে। 

ডা. সেন্ট জন এবং তার সহকর্মীরা জানিয়েছেন নাকের লোম তুললেও, নাকের টিস্যুর ক্ষতি হতে পারে। 

নাক খোঁটার মূল কারণ, নাকের নোংরা পরিষ্কার করা। এই অভ্যাস যাঁদের রয়েছে তারা হাত না ধুয়েই নাকে আঙুল দেন। এতেই বাড়ে সমস্যা। নাকের মাধ্যমেই সংক্রামণ ঘটাতে পারে। সংক্রামণ দুইভাবে ঘটতে পারে। একটি হল তলের মাধ্যমে অন্যটি বায়ুর মাধ্যমে। তলের মাধ্যমে সংক্রামণ ছোঁয়াচে হয়। আর  এই রোগের মাধ্যমেই ডিমেনশিয়া রোগ হয়ে থাকে। এই রোগকে অ্যালজাইমার রোগও বলা হয়ে থাকে। এটি ধীরে ধীরে স্মৃতি শক্তি এবং চিন্তাধারা হ্রাস করে। এছাড়া মানুষের মেজাজ এবং ব্যবহারের পরিবর্তন ঘটায়। বায়োমলিকিউল জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বিজ্ঞানীরা বিশেষ কিছু প্রমাণ তুলে ধরেছেন। এই জার্নালে এটাও জানিয়েছে যে নাকের ভেতর ব্যাকটেরিয়ার বাসা বাঁধার পেছনে আমাদের আঙুলের কতটা ভুমিকা রয়েছে। সেই ব্যাকটেরিয়াই পরবর্তীকালে স্নায়ুর প্রদাহের কারণ হয়ে ওঠে।  

অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটির গবেষণায় জানা গেছে, এই ব্যাকটেরিয়া ক্ল্যামেডিয়া নিউমোনিয়া নামে পরিচিত। এই জীবাণু নিউমোনিয়া রোগের জন্য দায়ী। পরবর্তীকালে এই রোগ ডিমেনশিয়ার জন্যও দায়ী। এই পরীক্ষাটি একটি ইঁদুরের মাধ্যমে করা হয়। পরীক্ষায় জানা গেছে, এই জীবাণু অলফ্যাক্টারি নার্ভের মাধ্যমে  মস্তিষ্কে পৌঁছায়, যা এপিথেলিয়ামকে নষ্ট করে ইনফেকশনকে আরও গুরুতর করে তোলে। 

 

মন্তব্য (০)





image

ওজন বেড়েছে থাইরয়েডে, শরীরের ক্ষতি না করেই স্লিম হবেন যেভাবে

নিউজ ডেস্ক : থাইরয়েড একটি জটিল রোগ। মধ্যবয়সেই অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হয়...

image

পাম অয়েল কতটা স্বাস্থ্যকর?

নিউজ ডেস্ক : এশিয়ায় সাধারণত ভাজাপোড়া জিনিস খাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। সে ...

image

চোখ দেখে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি চেনার ৪ লক্ষণ

নিউজ ডেস্ক : হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন—হার্ট অ্যাটাক হঠাৎ করেই...

image

এক গ্লাস হলুদ দুধের ম্যাজিক

নিউজ ডেস্ক : রাতে হলুদ দুধ পান করা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উল্লেখযোগ্য...

image

কাটা পেঁয়াজ -সবজি দীর্ঘ দিন তাজা রাখবেন যেভাবে

নিউজ ডেস্ক : ব্যস্ত জীবনযাত্রায় অনেক সময় সকালে সবজি কাটার সময় থাকে না। ক...

  • company_logo