• রাজনীতি

সব ধর্ম-বর্ণের মানুষকে নিয়ে সমৃদ্ধ দেশ গড়বে বিএনপি: আমির খসরু

  • রাজনীতি

ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্কঃ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘মানুষের মধ্যে অনেক দাবি সৃষ্টি হয়েছে, অনেক প্রত্যাশা জাগ্রত হয়েছে। নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে কোনো বিভাজন রাখা যাবে না। বিএনপি কোনো বিভাজনের রাজনীতি করে না। সব ধর্ম-বর্ণের মানুষকে নিয়ে সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলবে বিএনপি।’

‎তিনি বলেন, ‘দেশে সবার ধর্ম থাকবে, সংস্কৃতি থাকবে। সবাই তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব পালন করবে। এটার সঙ্গে গণতন্ত্রের কোনো সংঘর্ষ থাকতে পারে না, সংবিধানের সঙ্গে সংঘর্ষ থাকতে পারে না। জাতি হিসেবে, রাজনীতিবিদ হিসেবে আমাদের সহনশীল হতে হবে। ধর্ম যেমন মানুষের ভিন্ন ভিন্ন হয়, রাজনৈতিক মতভেদও ভিন্ন ভিন্ন হবে। কিন্তু দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে সবাইকে এক হতে হবে।’

‎শনিবার বিকালে চট্টগ্রামের জেএম সেন হল প্রাঙ্গণে শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে জাতীয়ভাবে ৪ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন ধর্ম সম্মেলন ও সাধু সন্ত ঋষি বৈষ্ণব মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‎আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সমাজে যখন কোনো মহামানব জন্মগ্রহণ করেন তখন তিনি সবার মঙ্গলের জন্য কাজ করেন। বিশ্বের শান্তির জন্য তিনি আবির্ভূত হন। তখন তার মঙ্গলজনক কাজ সব মানবজাতির জন্য আশীর্বাদ হয়। ঠিক একইভাবে শ্রীকৃষ্ণ অন্যায় অবিচার থেকে মানব সমাজকে মুক্তি দিতে দ্বাপরযুগে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কংসসহ অনেক অসুরকে বধ করে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।

‎তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে এখন হানাহানি, যুদ্ধ চলছে। মানুষ মরছে, এই সময় সবার সহনশীলতা প্রয়োজন। কিন্তু যারা মানুষ মারছে, হানাহানি করছে তারা কোনো সময় ধর্মের কথা বলে, কোনো সময় বর্ণের কথা বলে আবার কোনো সময় সংস্কৃতির কথা বলে।

‎‘অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্ব বলা পছন্দ না’ উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমাকে অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্ব বলা হয়। কেন বলতে হবে? আমার সংবিধানেতো সব মানুষের সমান অধিকারের কথা বলেছে। তাহলে অসাম্প্রদায়িক কেন বলতে হবে? তাহলে কোনো গলদ আছে এখানে। বাংলাদেশের সংবিধান মানলে অবশ্যই অসাম্প্রদায়িক হতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধানে অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা পুরোপুরি বলা আছে। সুতরাং অসাম্প্রদায়িক মুখে নয়, প্রকৃত অসাম্প্রদায়িক হলে দেশে কোনো হানাহানি থাকবে না। একইভাবে সংখ্যালঘু শব্দও আমি মানি না। সংখ্যালঘু বলতে কোনো শব্দ নেই। আমরা সবাই বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশি হিসেবে সবার অধিকার নিশ্চিত করা যেকোনো সরকারের দায়িত্ব।’

‎তিনি আরও বলেন, সামগ্রিকভাবে আমরা একটা জাতি, একটা দেশ, একটা সমাজ। যারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে তারা বারবার ধ্বংস হয়েছে, আবার বারবার নতুনভাবে শুরু করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এ দেশের সাধারণ মানুষ সাম্প্রদায়িকতাকে মনেপ্রাণে ঘৃণা করে। আজকের বাংলাদেশে আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে আছি সেখানে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করছে সবাই।

‎জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লায়ন আর কে দাশ রুপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন করেন বাঁশখালী ঋষিধামের মোহন্ত শ্রীমৎ স্বামী সচিদানন্দ পুরি মহারাজ। স্বাগত বক্তব্য দেন জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব দে পার্থ।

‎অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, পাচুরিয়া তপোবন আশ্রমের অধ্যক্ষ রবীশ্বরানন্দ পুরী মহারাজ, ভোলানন্দ গিরি মন্দিরের অধ্যক্ষ উমেশানন্দ গিরি মহারাজ প্রমুখ।

মন্তব্য (০)





image

নতুন সংবিধানের দাবি পাশ কাটিয়ে গেছেন ড.ইউনূস: আখতার

নিউজ ডেস্ক :  অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জুল...

image

দেশে কোনো নির্বাচন হলে গণপরিষদ নির্বাচন ‘আগে হতে হবে’: পা...

নিউজ ডেস্ক : ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ এর খসড়া চূড়ান্ত করে রাজনৈতিক ...

image

ইমামদের সঠিক ঈমানি কথা বলতে হবে: মাসুদ সাঈদী

নিউজ ডেস্ক : পিরোজপুর-১ আসনের জামায়াত ঘোষিত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জিয়ানগ...

image

আ.লীগ ধর্মের নামে বিভাজন সৃষ্টি করে ফায়দা হাসিল করেছে: টুকু

নিউজ ডেস্ক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন,...

image

পিআর পদ্ধতিতে কিছু দলের দ্বিমত আশাহত করে: ইসলামী আন্দোলন

নিউজ ডেস্কঃ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হ...

  • company_logo