
ছবিঃ সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক : নির্বাচন কমিশনের (ইসি) স্বীকৃতি চেয়ে চিঠি দিয়েছে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও রুহুল আমিন হাওলাদারের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি।
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বরাবর গত রোববার এই চিঠি দেয় জাতীয় পার্টির এই অংশটি। এর আগের দিন শনিবার তাদের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় পার্টির দশম কাউন্সিল পরবর্তী নবনির্বাচিত নেতৃত্বের তথ্য দিয়ে এ চিঠিতে নবনির্বাচিত কমিটির চারজনের তালিকা নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হয়। তালিকার অন্য দুজন হলেন সিনিয়র কো–চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ ও নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু।
চিঠিতে বলা হয়, ৯ আগস্ট গুলশানের একটি কমিউনিটি সেন্টারে সারাদেশের প্রায় পাঁচ হাজার কাউন্সিলরের অংশগ্রহণে চারজনকে কণ্ঠভোটে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির শীর্ষ পদে নির্বাচিত করা হয়েছে। শিগগিরই কমিশনে হালনাগাদ তথ্য দেওয়া হবে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে বাদ দিয়ে দলের এই জ্যেষ্ঠ নেতারা গত শনিবার কাউন্সিল করেন। এই কাউন্সিলকে তারা দলের ‘দশম কাউন্সিল’ বলছেন। সেখানে আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে চেয়ারম্যান ও রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব নির্বাচন করা হয়।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদরা নিজেদের এ কমিটিকে জাতীয় পার্টির ‘মূল ধারা’ দাবি করছেন। ওই কাউন্সিলকে গঠনতান্ত্রিকভাবে ‘বৈধ’ দাবি করে তাঁরা বলছেন, লাঙ্গল প্রতীক ব্যবহারের বৈধ অধিকার কেবল তাঁদের কমিটিরই আছে।
তবে চিঠিতে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন তারা।
এর আগে জি এম কাদের গত ৭ জুলাই তখনকার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ দলের ১০ নেতাকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন।
পরে অব্যাহতি পাওয়া নেতারা আদালতের দ্বারস্থ হলে গত ৩১ জুলাই জি এম কাদের ও যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলমের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন আদালত। এরপর তাকে বাদ দিয়েই গত জাতীয় কাউন্সিল করেন বিদ্রোহী জ্যেষ্ঠ নেতারা।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দল। নিবন্ধন নম্বর ১২। এই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি ও মহাসচিব মুজিবুল হকের নেতৃত্বে দলের সম্মেলন (গত শনিবার) অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়। পরদিন সম্মেলনের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করা হয়।
তবে জাতীয় পার্টির ‘গঠনতন্ত্রে’ চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের একচ্ছত্র এখতিয়ারের কারণে এ আবেদন ইসি আমলে নেবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত ইসিতে জি এম কাদেরের দল নিবন্ধিত ও প্রতীক লাঙ্গল। এ নিয়ে অন্য কারও কাউন্সিল আমলে নেওয়ার কথা নয়। তবু যেকোনো ধরনের আবেদন এলে ইসির কাছে উপস্থাপন করা হয়, কমিশন বিষয়টি আলোচনা করে নিষ্পত্তি করবে।
নিউজ ডেস্ক : আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে গণতন্ত্র মঞ্চ ৩০০ আসনে প্রার...
নিউজ ডেস্ক : আবারও দেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণের চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য ...
নিউজ ডেস্ক : কমরেড হারুন চৌধুরী নিজেকে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এমএল) ...
পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সা...
নিউজ ডেস্ক : সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ...
মন্তব্য (০)