
ফাইল ছবি
নিউজ ডেস্ক : রাজনীতিতে নারীর ক্ষমতায়ন বাড়াতে আগামী নির্বাচনে নারীদের জন্য দলীয় মনোনয়ন বাড়ানো ও সংরক্ষিত আসনে সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এর জন্য নারীদের নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শুরু করা উচিত।
গতকাল রোববার ‘নারী প্রার্থীদের জন্য জনতহবিল গঠন বিষয়ে নীতিনির্ধারণী সংলাপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন। তারা নারীদের বাদ দিয়ে নারীর বিষয়ে ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সমালোচনাও করেছেন। রাজধানীর ফার্মগেটে ‘কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ’ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল। সংলাপে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য ‘নির্বাচনী প্রচারণা ব্যয় (নারী প্রার্থী) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ শিরোনামে অধ্যাদেশের খসড়া তুলে ধরা হয়। এ অনুসারে নির্বাচনে যোগ্য নারী প্রার্থীকে এগিয়ে নিতে জনতহবিল গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন বক্তারা।
সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ‘নারীবিবর্জিত কমিশন (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) বসে নারীর বিষয় নির্ধারণ করছে। আমি ভীষণভাবে অস্বস্তিতে ভুগছি। সিদ্ধান্ত গ্রহণে এখানে নারীদের সমানভাবে পাইনি।’ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, হিসাব কষতে বসে নারীদের জন্য কার্পণ্য করা হয়েছে। নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা আবার শুরু করার আহ্বান জানান তিনি।
নারী প্রার্থীদের জন্য জনতহবিল গঠন বিষয়ে অধ্যাদেশের খসড়া সংলাপে তুলে ধরেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের প্রিন্সিপাল পরিচালক মো. আবদুল আলিম। খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়, নারী প্রার্থীদের জন্য (দলীয় ও স্বতন্ত্র) জনতহবিল গঠন করা হবে। এ তহবিল গঠন করার জন্য সরকার নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুসারে প্রতিবছর প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করবে, যা জাতীয় বাজেটের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে। নির্বাচন কমিশনের শর্ত ভঙ্গ করলে, নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকলে বা নির্বাচন বর্জন করলে প্রার্থীর জন্য বরাদ্দ করা তহবিল সম্পূর্ণ বা আংশিক বাতিল করার ক্ষমতা কমিশনের থাকবে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এবার সবার দাবি ছিল নারী আসনসংখ্যা বাড়ানো এবং সেসব আসনে সরাসরি নির্বাচন। সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়, তা অনুগ্রহ। জনগণের কাছে জবাবদিহি থাকে না।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকার চাইলে নারীর মনোনয়ন আরও বাড়াক। নারীদেরও নির্বাচনে অংশ নিতে উদ্যোগী হতে হবে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নারী সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। অথচ নারী আসন ও সাধারণ আসনে মনোনয়ন নিয়ে কোনো পরিবর্তন আনা গেল না। এটা ব্যর্থতা।
নিউজ ডেস্কঃ বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় ১০ লাখ যুবককে বিভিন্ন ট...
নিউজ ডেস্ক : কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষ...
নিউজ ডেস্ক : পুলিশের ডিআইজি পদমর্যাদার সাত কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে অতি...
নিউজ ডেস্ক : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের জন্য আলাদা বুথ থাক...
নিউজ ডেস্ক : যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ইতালি থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস...
মন্তব্য (০)