
ছবিঃ সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক : বিদায়ি অর্থবছরের শেষ বা চতুর্থ প্রান্তিকে আগের বা তৃতীয় প্রান্তিকের তুলনায় তৈরি পোশাকের রপ্তানি কমেছে ১১ দশমকি ৯২ শতাংশ। যদিও সার্বিকভাবে রপ্তানি আয় বেড়েছে। ওই প্রান্তিকে রপ্তানি আয় কমার নেপথ্যে রয়েছে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ নিয়ে সৃষ্ট অস্থিরতা ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মীদের কর্মবিরতির কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি। এতে রপ্তানি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে প্রকাশিত তৈরি পোশাক রপ্তানি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। গত জুন পর্যন্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। প্রতি তিন মাস পরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদায়ি অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকে অর্থাৎ এপ্রিল-জুনে দেশ থেকে ৯১১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ রপ্তানি তার আগের প্রান্তিক অর্থাৎ জানুয়ারি-মার্চের তুলনায় ১১ দশমিক ৯২ শতাংশ কম। গত এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে তৈরি পোশাক খাত বেশ কিছু গুরুতর সমস্যার মুখোমুখি হয়। এর মধ্যে ছিল বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও বাণিজ্যনীতির পরিবর্তন। যা ওই প্রান্তিকের রপ্তানি দক্ষতাকে দুর্বল করে দেয়। নীতিগত পরিবর্তনের মধ্যে অন্যতম ছিল যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ (পরে কমে হয়েছে ২০ শতাংশ) অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ। তখন পর্যন্ত সেটি কার্যকর না হলেও বিদেশি ক্রেতারা রপ্তানির আদেশ স্থগিত করায় অনিশ্চয়তা বাড়িয়ে দিয়েছিল।
মার্কিন প্রশাসন গত ৩১ জুলাই অন্য অনেক দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশি পণ্যের অতিরিক্ত শুল্কের হার সংশোধন করে। এবারে বাংলাদেশের পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক কমে ২০ শতাংশ হয়। গত বৃহস্পতিবার থেকে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক কার্যকর হয়েছে। তাতে বাংলাদেশ প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় সুবিধাজনক অবস্থায় আছে। কারণ, এ বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের মূল প্রতিযোগী ভিয়েতনামের অতিরিক্ত শুল্ক ২০ শতাংশ। অন্যদিকে ভারতের ওপর পালটা শুল্ক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশ। আর চীনের শুল্ক এখন পর্যন্ত ৩০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এনবিআরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ধর্মঘটের কারণে শুল্কায়ন প্রক্রিয়ায় দেরি হয়, যা পণ্যের চালান প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করে। সময়মতো পণ্য পাঠানোকে উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যাহত করে। এদিকে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রতিকূল পরিস্থিতি, দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদন ব্যয় ও রপ্তানি বাজারের বৈচিত্র্যহীনতার কারণেও রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হয়।
এতে আরও বলা হয়, বিদায়ি অর্থবছরের এপ্রিল-জুন সময়ে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মূল্য সংযোজন কিছুটা কমেছে। এই প্রান্তিকে দেশ থেকে মোট ৯১১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে ৩৯৪ কোটি ডলারের কাঁচামাল আমদানি হয়। মূল্য সংযোজন দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আগের প্রান্তিকে মূল্য সংযোজন ছিল ৫৮ দশমিক ৯০ শতাংশ।
নিউজ ডেস্ক : মার্কিন শুল্ক পরিস্থিতিতে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়লেও দ...
নিউজ ডেস্কঃ বিদায়ি অর্থবছরের শেষ বা চতুর্থ প্রান্তিকে আগের ব...
নিউজ ডেস্ক :
দেশের বাজারে গত কয়েক দিন ধরে একই দামে বিক্রি হচ্...
নিউজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র বাড়তি পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর ভারতের তৈর...
নিউজ ডেস্ক : উত্তরাধিকার সূত্রে অর্থনীতিকে কোন অবস্থায় পেল, তা জানা ছিল ...
মন্তব্য (০)