
ছবিঃ সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাকে ‘সন্ত্রাস ও অপরাধমূলক আগ্রাসন’ আখ্যা দিয়ে জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি সাঈদ ইরাভানি বলেছেন, এই হামলা আন্তর্জাতিক আইনের সব সীমা লঙ্ঘন করেছে।
স্থানীয় সময় সোমবার (১৬ জুন) নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইরাভানি বলেন, ‘ইসরায়েল ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার বিরুদ্ধে সরাসরি আগ্রাসন চালিয়েছে। এটি জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নীতিমালার স্পষ্ট লঙ্ঘন।’
তিনি জানান, সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হলো—ইসরায়েল শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, যেগুলো আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-এর পর্যবেক্ষণে পরিচালিত হচ্ছিল। এতে ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল।
‘ইরান যদি সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনত, তাহলে তার পরিণতি মারাত্মক হতে পারতো,’ বলেন ইরাভানি।
তিনি ইসরায়েলের তথাকথিত ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’ দাবিকে ‘ভুল ও প্রতারণামূলক’ বলে অভিহিত করেন। বরং তারা ইরানের নাগরিক এলাকা, হাসপাতাল, ঘরবাড়ি, এমনকি সংবাদমাধ্যমের ওপরও হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ইরাভানি জানান, এখন পর্যন্ত অন্তত ১ হাজার ৪৮১ জন নিহত বা আহত হয়েছেন। এর মধ্যে অন্তত ২২৪ জন বেসামরিক নাগরিক, যাদের অনেকেই নারী ও শিশু। তেহরানের একটি আবাসিক ভবনে চালানো হামলায় প্রায় ২০ শিশুর প্রাণহানি ঘটে।
এছাড়া, দেশটির পানি, জ্বালানি ও পেট্রোকেমিক্যাল অবকাঠামো—বিশেষ করে বুশেহরের আসালুইয়েহ রিফাইনারি ও একাধিক হাসপাতালেও হামলা চালানো হয়।
তিনি বলেন, ‘এই হামলাগুলো দুর্ঘটনা নয়—ইচ্ছাকৃত। এগুলো যুদ্ধাপরাধ।’
আরও বিস্ময়করভাবে, ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা আইআরআইবির কার্যালয়েও সরাসরি সম্প্রচারের সময় হামলা চালানো হয়। ইরাভানির ভাষায়, “এটি সাংবাদিকতার ওপর সরাসরি আঘাত এবং ইসরায়েলের বর্বরতা ও তথ্য শত্রুতার প্রমাণ।”
ইসরায়েলের এসব হামলার জবাবে ইরান আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করেছে বলে জানান তিনি। জাতিসংঘ সনদের ৫১ নম্বর অনুচ্ছেদের আলোকে এই প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
‘আমাদের প্রতিক্রিয়া ছিল প্রতিরক্ষামূলক, সীমিত ও নির্ভুল লক্ষ্যবস্তুতে। আমরা শুধু সেই সামরিক ও অর্থনৈতিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করেছি, যেগুলো এই আগ্রাসনে জড়িত,’ বলেন ইরাভানি।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘ইরান যুদ্ধ বা উত্তেজনা চায় না। তবে নিজের জনগণ, ভূখণ্ড ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কখনও পিছপা হবে না।’
এসময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকাকেও তীব্রভাবে সমালোচনা করে বলেন, ‘ইসরায়েলি হামলা মার্কিন অস্ত্র, গোয়েন্দা সহায়তা ও রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া সম্ভব হতো না। তাই এই আগ্রাসনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রও দায়ী।’
সবশেষে ইরাভানি জানান, এই হামলার ঠিক আগেই ওমানের মাসকটে ইরানের পরমাণু আলোচনার ষষ্ঠ দফা শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেখানে ইরান সমঝোতার জন্য নতুন প্রস্তাব নিয়েছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র ‘অসৎ উদ্দেশ্য ও দ্বিমুখী নীতিতে’ তা প্রতিহত করেছে, যা কূটনীতিকে দুর্বল করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
নিউজ ডেস্কঃ ঢাকায় পুনরায় ভিসা কার্যক্রম চালু করায় অস্ট্রেলিয়াকে ধন্যবাদ জ...
নিউজ ডেস্কঃ বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও কূটনৈতিক সংযোগ বাড়াতে পাঁচ দেশে নতুন মি...
নিউজ ডেস্কঃ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্ব একটি প্রত...
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ গত বৃহস্পতিবার হঠাৎ ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। &ls...
নিউজ ডেস্কঃ নানা আয়োজনে ঢাকাস্থ রাশিয়ান হাউসে বুধবার রাশিয়া দিবস উদযা...
মন্তব্য (০)