রংপুরে দুই বোনের আত্মহত্যার রহস্য উদঘাটন

ছবিঃ সিএনআই

রংপুর ব্যুরো: রংপুরের শেখপাড়ায় একই সঙ্গে আপন দুই খালাতো বোনের আত্মহত্যার ত্রিভুজ প্রেমের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার মূল প্রধান আসামী আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শনিবার  (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান পিবিআই।

রংপুর মেট্টোপলিটন তাজহাট থানায় দায়েরকৃত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়েরকৃত  মামলায় দুই খালাতো বোনের একই সঙ্গে বিষপানে আত্মহত্যার ঘটনায় তদন্ত শুরু করে পিবিআই। ২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি  রংপুর কোতয়ালী থানার শেখপাড়া গ্রামের আলমগীর হোসেনের মেয়ে সাদিয়া আক্তার অন্নি (১৫) ও মঞ্জুর হোসেনের মেয়ে  লুৎফন নাহার লাতুল (১৪)বিষপানে আত্মহত্যা করে।এ ঘটনায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা হিসাবে ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে প্রচারিত হয়। 

রংপুর কোতয়ালী থানায় এ  ঘটনায় মামলা করা হয়। থানা পুলিশ দীর্ঘ আড়াই বছর  তদন্তের পর উদ্ঘটন না হয় পরে মামলাটি নতুন করে তদন্ত করতে দেওয়া হয় পিবিআইকে। রংপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন মামলাটি তদন্ত করার জন্য। 

পিবিআইয়ের তদন্তকারীপুলিশ পরিদর্শক যতীন্দ্রনাথ শর্মা প্রায় এক বছরের বেশি  তদন্ত করে।তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আত্মহত্যা প্ররোচনার  প্রধান আসামী একই গ্রামের আনছার আলীর ছেলে  মেরাজুল ইসলাম  (২২) কে গ্রেফতার করে  আদালতে প্রেরণ নেয়া হলে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) আদালতে  স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থেকে জানা যায় মেরাজুল এক সঙ্গে দুই খালাতো বোনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন দুই বোনের সাথে। এক পর্যায়ে প্রতারনামূলকভাবে শারীরিক সম্পর্ক করে সে। দুই বোনের সাথে প্রেমের সম্পর্কে ঘটনাটি জানাজানি হলে লজ্জায় একই সময় তাদের নানার বাড়ীতে গিয়ে সেই বাসায় বিষপানে আত্মহননের পথ বেছে নেয়।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগ হতে আত্মহত্যার পূর্বে ধর্ষিতা হওয়ার বিষয়ে রিপোর্ট চলে আসে। পুলিশ বলছেন মামলাটির তদন্ত অব্যহত আছে  বলেও জানানো হয়।

রংপুর পিবিআই পুলিশ সুপার এস এম জাকির হোসেন জানান দীর্ঘ এক বছর পর জীবনের আত্মহত্যার ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তের পর আসল রহস্য বেরিয়ে আসে তবে অতি দ্রুত ইটিং মামলার অগ্রগতি হবে বলে জানান তিনি।