• উদ্যোক্তা খবর

আজীবন সমাজের জন্য কাজ করে যাতে চায় কেটিএস

  • উদ্যোক্তা খবর
  • ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ১৩:৩৫:২২

ছবিঃ সিএনআই

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ  কচি-কাঁচাদের সংগঠন কোঁড়া তরুন সমাজ (কেটিএস)’র অগ্রযাত্রায় পার হল আরো একটি বছর। এনিয়ে ২ বছর পার করতে যাচ্ছে সংগঠনটি। নিজেদের অনুপ্রেরণায় সমাজের কল্যাণে কাজ করার লক্ষে সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলাধীন সখিপুর ইউনিয়নে গঠন হয় কেটিএস। কোঁড়া গ্রামের হুমায়ন কবিরের নেতৃত্বে এলাকার শিশু কিশোরদের নিয়ে গড়ে তোলা হয় সংগঠনটি।

প্রথমে ১০/১৫ জন সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে প্রায় অর্ধশতার্ধীক সদস্য আছে তাদের। সংগঠনটির সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে নিজস্ব উদ্যোগে এলাকার রাস্তা সংস্কার, খেলার মাঠ ভরাট, রাস্তার পার্শ্বে পুকুরের পাড় মেরামোত, শিশুদের বিভিন্ন শিক্ষা প্রদান, ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন, জাতীয় দিবস উৎযাপন, বিভিন্ন সময় ক্রীড়া প্রযোগীতা ও শিশু কিশোরদের বিনোদনের ব্যবস্থা সহ নানা কাজ করে যাচ্ছে। এলাকার মানুষ তাদের এই কার্মকান্ড দেখে সাবাই খুশি। যে বয়সে তাদের পড়ালেখা, খেলাধুলা করে সময় কাটানোর কথা সেই বয়সে তারা এখন সমাজের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। আগামি দিনে কেটিএস সমাজের মানুষের জন্য আরো অনেক অবদান রাখবে বলেও প্রত্যাশা করেন এলাকাবাসী।

কেটিএস’র সদস্য আব্দুল্লাহ(১৫) জানান, কবির ভাইয়ের নেতৃত্বে তাদের যাত্রা শুরু হয়। তাদের গ্রুপে ৫বছর থেকে শুরু করে ২২ বছর বসয়ী সদস্য রয়েছে। বর্তমানে তাদের কর্মকান্ড এখন সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে। আব্দুল্লাহ আরো বলেন, তাদের এসব কাজ দেখে পরিবার থেকে তাদের সহযোগীতা করে।
সাবেক ইউপি সদস্য ডাঃ নজরুল ইসলাম জানান, কেটিএস’র সদস্যরা খুবই সুনামের সাথে কাজ করে। তাদের এই বয়সে এমন কাজ দেখে সত্যি অবাক হওয়ার মত। আমি দেখেছি তাদের সদস্যরা কখনো রাস্তা সংষ্কার, কখনো রাস্তার পাশে পুকুরের পাড় সংস্কার করছে। যে কাজ গুলো প্রশাংসার মত। আমি তাদের মঙ্গল কামনা করি।

সংগঠনের নেতৃত্বদানকারী হুমায়ন কবির জানান, পড়ালেখার পাশাপাশি অবসর সময়ে এলাকার শিশু কিশোরদের নিয়ে কেটিএস’র কার্যক্রম শুরু করি। আমাদের সদস্যরা যাতে সঠিক দেশপ্রেমে উদ্ভদ্ধ হয় এবং খারাপ সঙ্গে মিশে নষ্ট না হয় সেজন্য তাদের নিয়ে বিভিন্ন কাজে অংশ গ্রহন করি। এতে তারা আনন্দ পায় এবং সমাজের কাজ হয়। সবাইকে আমরা ২য় বছর পার করছি। আজীবন আমরা সমাজের মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।
এদিকে, কেটিএস’র ২য় বার্ষিক উৎযাপন উপলক্ষে দিনব্যাপী ক্রীড়া, সাংস্কৃতি ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া এলাকার প্রবীন ও নারীদের বিনোদনের জন্যও রাখা হয়েছে বিভিন্ন খেলা। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo