• সমগ্র বাংলা

র্দীঘ যাত্রা বিরতির পর তালশহরে আবার তিনটি মেইল ট্রেনের যাত্রা শুরু

  • সমগ্র বাংলা
  • ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ১৪:২৯:২৪

ছবিঃ সিএনআই

হাসান জাবেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে তালশহর রেলওয়ে স্টেশনে র্দীঘ যাত্রা বিরতি থাকার পর নতুন করে আবার তিনটি মেইল ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়েছে। শুক্রবার বিকালে ঢাকাগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রা বিরতীর মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু হয়। এসময় তালশহর ইউনিয়ন আ.লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক, পরিচালক ও যাত্রীদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।    

এই উপলক্ষে তালশহর রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে ইউনিয়ন আ.লীগের উদ্যোগে এক সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আইন সমিতি সাবেক সভাপতি এ্যাড. কামরুজ্জামান আনসারি। উক্ত সুধী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন তালশহর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মো. সোলাইমান মিয়া। 

সুধী সমাবেমে প্রধান অতিথি বক্তবে বাংলাদেশ আইন সমিতি সাবেক সভাপতি এ্যাড. কামরুজ্জামান আনসারি বলেন এই ঐতিয্যবাহী রেল স্টেশন অচল হয়ে পড়েছিল। আজ থেকে আবার নতুন করে সচল হবে এই রেলওয়ে স্টেশনটি। এসময় তিনি চলাচলকারি যাত্রীদের ট্রেনে টিকেট কেটে যাত্রা ভ্রমন করার জন্য অনুরোধ করেন। এসময় তিনটি ট্রেন যাত্রা বিরতী করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য রেলপথ মন্ত্রী এ্যাড. নুরুল ইসলাম সুজনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তালশহর রেলস্টেশন সূত্রে জানা যায়, ১৯১৪ সালে তালশহর রেলস্টেশন চালু হয়। ঐদিনই আখাউড়া-তালশহর-আশুগঞ্জ সেকশনে ট্রেন চলাচল শুরু করে। এ সেকশনে তালশহর আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানির খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রেলস্টেশন ছিল। সর্বাধিক গুরুত্ব বিবেচনায় কোম্পানি পরিকল্পনা করে। সে অনুযায়ী প্রথমে ৮টি লাইন বসানো হয়। পরে স্টেশনটিকে আরো সম্প্রসারিত করার ব্যবস্থা রাখা হয়। রেলওয়ে জোন পূর্বাঞ্চলীয় জংশনগুলোর পর তালশহর রেলস্টেশনটি ছিল সবচেয়ে ব্যস্ত স্টেশন ক্যাটাগরিতে বি গ্রেড অর্থাৎ দ্বিতীয় শ্রেণির একটি রেলস্টেশন এটি। আশুগঞ্জ রেলস্টেশনের সব কার্যক্রম তালশহর ও ভৈবর বাজার স্টেশন থেকে কন্ট্রোল করা হয়। 

ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ রুটে তালশহর রেলস্টেশন দিয়ে চলাচলকারী ট্রেনগুলোর মধ্যে সূবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী, গোধুলী এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, উপকূল এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস, উপবন এক্সপ্রেস, তূর্ণা এক্সপ্রেস, কালনী এক্সপ্রেস, বিজয় এক্সপ্রেস, সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস, কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, সুরমা মেইল, ঢাকা-চট্টগ্রাম মেইল, ঢাকা-নোয়াখালী এক্সপ্রেস, তিতাস এক্সপ্রেস, চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেন প্রতিদিন গন্তব্যের উদ্দেশে চলাচল করছে। 
আগে তালশহর রেলস্টেশনে যাত্রী পরিবহনে ৮ জোড়া লোকাল ও মেইল ট্রেনের যাত্রা বিরতী ছিল। সব সময় ৩-৪টি মালবাহী ট্রেনের পার্কিং থাকত। নিয়মিত সাল্টিং করত এক থেকে দুটো ট্রেন। 

এখানে যাত্রা বিরতী এসএসকার এক্সপ্রেস, চাঁদপুর ও বাল্লা লোকালসহ ৩ জোড়া ট্রেন একযুগ পূর্বেই রেল কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দেয়।

মুজিববর্ষের শুরুতে বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ১১০ বছরের পুরনো রেলস্টেশনে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই কর্ণফুলী এক্সপ্রেসের যাত্রা বিরতিও বন্ধ করে দেয়। শুধু ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কর্ণফুলী ডাউন তালশহর স্টেশনে যাত্রা বিরতি করে। ট্রেনের যাত্রা বিরতি না থাকার কারণে এই স্টেশনে স্টেশন মাস্টারও বেশিদিন থাকতে চায় না। যাত্রীদেরও চাপ পড়েছে পাশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আশুগঞ্জ ও ভৈরব রেলস্টেশনে।  

উল্লেখ্য: ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জে শত বছরের ঐতিয্যবাহী তালশহর রেলওয়ে স্টেশন। এখন থেকে এই স্টেশনে প্রতিদিন কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, সুরমা মেইল, নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতি হবে। র্দীঘদিন বন্ধ ছিল ট্রেনগুলো যাত্রা বিরতী। শুধুমাত্র চট্রগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনটি এই স্টেশনে যাত্রা বিরতী করে আসছিল।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo