• শিক্ষা

উপবৃত্তির তথ্য প্রদানের সময় বৃদ্ধি তৃতীয় দফায়

  • শিক্ষা
  • ১৮ জানুয়ারী, ২০২১ ১৮:০৪:৫৪

ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্কঃ সার্ভার জটিলতা, জন্ম নিবন্ধন তথ্য জটিলতাসহ নানা সমস্যার কারণে তৃতীয় দফায় প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির জন্য ডাটা এন্ট্রির সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের তথ্য সার্ভারে ইনপুট দেয়া যাবে।

গতকাল রোববার (১৭ জানুয়ারি) প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রকল্প (তৃতীয় পর্যায়) থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।

জানা গেছে, এর আগে দুই দফা সময় বাড়ালেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনেকে তথ্য প্রদান করতে সক্ষম হননি। এ নিয়ে গতকাল রোববার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী জাকির হোসেন, সচিব জি এম হাসিবুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক হয়। সেখানে শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে সময় আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক মো. ইউসুফ আলী (অতিরিক্ত সচিব) বলেন, প্রথমদিকে নগদের সার্ভার, জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত নানা জটিলতার কারণে সবাই তথ্য প্রদান করতে পারেননি। বর্তমানে এ সমস্যাগুলো অনেকটা কেটে গেছে। আশাকরি ২৫ জানুয়ারির মধ্যে সবাই ডাটা এন্ট্রি করতে পারবে।

জানা গেছে, উপবৃত্তি বিতরণ করবে ডাক বিভাগের মোবাইল লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’। তারা জিটুপি (গভর্নমেন্ট পাবলিক) পদ্ধতিতে উপবৃত্তি বিতরণ করবে। সেজন্য তাদের নিজস্ব সার্ভারে দেশের ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থী এবং তাদের মায়েদের তথ্য সংগ্রহ শুরু করে গত ডিসেম্বর মাসের ২৮ তারিখ থেকে।

এরপর নানা জটিলতার মধ্যে পড়তে হচ্ছে শিক্ষকদের। এর মধ্যে অন্যতম হলো- স্কুলে শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন না থাকা। ভর্তির সময় বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন না নেয়া, অভিভাবকদের কাছে সন্তানের জন্ম নিবন্ধন না থাকা। অনেকেই আবার ইউনিয়ন পরিষদ বা ওয়ার্ডে জন্ম নিবন্ধন আনতে গিয়ে পড়েন সার্ভার জটিলতায়।

এর সঙ্গে নগদের সার্ভারে সমস্যা, মফস্বল এলাকায় ইন্টারনেটের ধীরগতি, মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকাসহ শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের খুঁজে না পাওয়ার কারণে ডাটা এন্ট্রির কাজ চলছে কচ্ছপগতিতে।

উপবৃত্তি প্রকল্পের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম দফা সময় বাড়ানোর পর শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত ৬৫ হাজার স্কুলের মধ্যে মাত্র পাঁচ হাজার ১০৬টি প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ডাটা এন্ট্রি করেছে। গতকাল রোববার পর্যন্ত মাত্র সাত হাজার প্রতিষ্ঠান এন্ট্রি করতে সক্ষম হয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক মো. ইউসুফ আলী বলেন, অনেক স্কুলের ৭০ থেকে ৮০ ভাগ শিক্ষার্থীর তথ্য এন্ট্রি হয়েছে। বাকিগুলো করলে তারাও সম্পূর্ণ হালনাগাদ তথ্যের মধ্যে চলে আসবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo