• অপরাধ ও দুর্নীতি

আশুলিয়ায় হাতি দিয়ে অভিনব কায়দায় চাঁদা আদায়

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ১৮ জানুয়ারী, ২০২১ ১১:১০:৫৪

ছবিঃ সিএনআই

সাভার প্রতিনিধিঃ আশুলিয়ায় হাতি ব্যবহার করে অভিনব কায়দায় চাঁদা আদায় করে আসছে একটি মহল। এ অঞ্চলের ব্যবসায়ী ও পথচারীদেরকে ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে হাতির মাধ্যমে চাঁদাবাজি করছে। এমন কি সড়কে যানবাহন থামিয়েও টাকা আদায় করতে দেখা গেছে। সোমবার সকালে আশুলিয়ার দক্ষিণ গাজিরচট এলাকায় হাতি দিয়ে দোকান থেকে টাকা তুলতে দেখা যায়। বড় একটি হাতির পিঠে বসে একজন মাহুতি হাতিটিকে পরিচালনা করছে। হাতি শুঁড় দিয়ে দোকানীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা মাহুতির হাতে তুলে দিচ্ছে। 

হাতির মাহুতির কাছে এই চাঁদাবাজির সাথে জড়িতদের পরিচয় জানার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। হাতিকে টাকা না দেওয়া পর্যন্ত দোকান থেকে হাতি সরছে না, এমন দৃশ্যও দেখা গেছে। তবে দোকানিরা জানমালের ক্ষতির ভয়ে টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এমনকি পথচারীরাও এই অভিনব কায়দা থেকে বাদ পরছেন না। এনিয়ে ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মাঝে এক প্রকার চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

দক্ষিণ গাজিরচট দুদু মার্কেট এলাকার নাইম নামের এক ফ্লেক্সিলোড দোকানদার জানান, দোকানের মধ্যে হঠাৎ হাতির শুঁড় ঢুকিয়ে দিলো। পরে ভয়ে বাধ্য হয়ে ১০টাকা দিলাম। এর আগের দিনেও আমি হাতি দেখে তাড়াতাড়ি করে আমার দোকানের গ্লাস লাগিয়ে ফেললাম। পরেও টাকা দেওয়া থেকে রেহাই পেলাম না। হাতিটি দোকানের কাছে এসে বাইর থেকে শুঁড় দিয়ে গ্লাসের ওপর আঘাত করতে থাকে। গ্লাস ভেঙ্গে যাবে এই ভয়ে ২০টাকা দিয়ে বিদায় করে দিলাম।  
এক ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী বলেন, ‘মাঝে মধ্যে হাতি দিয়ে এখানে চাঁদাবাজি করতে দেখা যায়। বিষয়টি দেখার কেউ নেই।’

স্থানীয়রা বলেন, ‘হাতিসহ দোকানের সামনে এসে দোকানিদের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা হয়। চাঁদার টাকা না দেওয়া পর্যন্ত সেখান থেকে হাতি সরানো হচ্ছে না’। চাহিদা অনুযায়ী টাকা না পেলে হাতির শুঁড় দিয়ে দোকানের মালামাল ফেলে দেয় বলেও তারা অভিযোগ করেন। এভাবে টাকা আদায়ের কারণে দোকানিদের বেচা-কেনায় সমস্যা হচ্ছে বলেও জানান তারা। এক পিআপভ্যান চালক বলেন, আমি গাড়ি চালিয়ে দুদুমার্কেট দিয়ে যাবার সময় একটি হাতি আমার গাড়ি সামনে এসে গতিরোধ করে। পরে লুকিং গ্লাসের পাশ দিয়ে আমার দিকে শুঁড় ঢুকিয়ে দেয়। টাকা না দেয়া পর্যন্ত সে পথ আগলে দাড়ায়।  

হাতির মাহুত বলেন, ‘আমি হাতি নিয়ে ঘুরে-ঘুরে বিভিন্ন এলাকা থেকে খাবারের জন্য টাকা সংগ্রহ করি। তবে, জোর করে কারো কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয় না। লোকজন স্বেচ্ছায় যা দেয়, তাই নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট।’ এবিষয়ে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ জিয়াউল হককে  অবগত করা হলে খোঁজ-খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo