• আন্তর্জাতিক

ইয়েমেনের বিমানবন্দরে গুলি ও বোমা হামলায় নিহত বেড়ে ২৬, পাল্টা হামলা সৌদির

  • আন্তর্জাতিক
  • ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৭:২৩:০৫

ছবিঃ সংগৃহীত

 

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইয়েমেনের আদেন বিমানবন্দরে গুলি ও বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ জন। বুধবার দেশটির নতুন সরকার বিমানবন্দরে পা রাখা মাত্রই একাধিক বোমা বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।

এসময় সেখানে ছিলেন ইয়েমেনের প্রধানমন্ত্রী, দেশটিতে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূতসহ নতুন মন্ত্রীরা। হামলার পরপরই তাদের অক্ষত অবস্থায় মাশেক প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে সরিয়ে নেওয়া হয়।

তবে ঘটনা সেখানেও শেষ হয়নি। তারা প্যালেসে প্রবেশের কয়েক ঘণ্টা পর ওই এলাকায় আরেকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

বিমানবন্দরে এভাবে হামলাকে বিশ্বাসঘাতকতা এবং কাপুরুষোচিত বলে মন্তব্য করেছেন ইয়েমেনের সৌদি সমর্থিত নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী মইন আব্দুলমালিক। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেয়েরেসও।

হামলায় নিহতদের মধ্যে রেড ক্রসের দুই কর্মকর্তা রয়েছেন বলে জানিয়েছে মানবিক সহায়তা দানকারী আন্তর্জাতিক সংস্থাটি।

এখন পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। এর জন্য ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের দায়ী করা হলেও তারা সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

তবে হুথিরা দায় স্বীকার না করলেও তাদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা শুরু করেছে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট।

হুথি পরিচালিত আল মাসিরাহ টেলিভিশন জানিয়েছেন, সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং সানহান ও হাশিশ জেলায় আরও দু’টি হুথি স্থাপনায় রাতভর বিমান হামলা চালিয়েছে সৌদি জোট। তবে এতে এখনও কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

দক্ষিণাঞ্চলীয় বিদ্রোহীদের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে গত ১৮ ডিসেম্বর গঠিত হয়েছে ইয়েমেনের নতুন সরকার। সম্প্রতি সৌদি আরবে গিয়ে শপথ নিয়েছেন এ সরকারের ২৪ মন্ত্রী। সেখানে গত শনিবার তাদের শপথ পড়িয়েছেন ইয়েমেনি প্রেসিডেন্ট আবেদরাব্বো মনসুর হাদি।

২০১৪ সালে ইয়েমেনি রাজধানী সানা ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর থেকেই রিয়াদে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট হাদি। ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চল নিয়ন্ত্রণকারী বিদ্রোহীদের মোকাবিলা করতে সম্প্রতি দক্ষিণাঞ্চলীয় বিদ্রোহীদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে নতুন সরকার গড়েছেন তিনি। তার পক্ষে লড়ছে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট।

গত পাঁচ বছর ধরে ইয়েমেনি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সৌদি জোটের এ সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ, ঘরছাড়া হয়েছেন কয়েক লাখ। গত কয়েক দশকের মধ্যে ইয়েমেনেই বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo