• শিক্ষা
  • লিড নিউজ

ভিকারুননিসায় নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্রে টেম্পারিংয়ের ঘটনা তদন্ত হচ্ছে

  • শিক্ষা
  • লিড নিউজ
  • ১১ নভেম্বর, ২০২০ ১৫:১৫:৫১

ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্কঃ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে কর্মকর্তা নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্রে টেম্পারিংয়ের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের তদন্ত কমিটি।

গতকাল মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ও ভিকারুননিসার গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান এ কে এম মাসুদুজ্জামান তদন্তের বিষয়ে অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে নিয়োগ পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে গত ৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন কার্যক্রমে সংঘটিত অনিয়মের বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) সকাল ১০টায় তদন্ত কার্যক্রম পরিচালিত হবে। খাতা মূল্যায়নের সব সদস্য ও সে সময় উপস্থিত নিয়োগ কমিটির সদস্যদের ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে হাজির করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে অনুরোধ করা হলো।

অধ্যক্ষকে দেয়া চিঠিতে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (উন্নয়ন) মো. মাজহারুল ইসলাম, গভর্নিং বডির সদস্য এ বি এম মনিরুজ্জামান (অভিভাবক প্রতিনিধি), মুর্শিদা আখতার (অভিভাবক প্রতিনিধি), ওহেদুজ্জামান মন্টু (অভিভাবক প্রতিনিধি,) গোলাম বেনজীর (অভিভাবক প্রতিনিধি), অ্যাডভোকেট রীনা পারভিন (সংরক্ষিত অভিভাবক প্রতিনিধি) এবং অভিযুক্ত শিক্ষক ফাতেমা জোহরা হককে (শিক্ষক প্রতিনিধি) অবহিত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুলিপি দেয়া হয়েছে।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে অভিভাবক ফেরামের সভাপতি আব্দুর রহিম হাওয়লাদার (রানা) এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ সুজন অভিভাবকদের পক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে লিখিত আবেদন দিয়ে মন্ত্রণালয়কে ঘটনাটি তদন্তের দাবি জানান। লিখিত আবেদনে উত্তরপত্র টেম্পারিংয়ের জন্য অভিভাবক ফোরাম অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফওজিয়া রেজওয়ানকেও দায়ী করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ নভেম্বর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের সময় দুজন প্রার্থীর নম্বর বাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠে।

পরে শিক্ষক প্রতিনিধি ফাতেমা জোহরা হক এক প্রার্থীর নম্বর বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে প্রমাণ পান গভর্নিং বডির সভাপতি ও ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারের প্রতিনিধি সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. মাজহারুল ইসলাম। পরের দিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও গভর্নিং বডির সভায় মৌখিক পরীক্ষা বাতিল করা হয়।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo