স্পোর্টস ডেস্কঃ মাঝে আর মাত্র একদিন মানে ২৮ অক্টোবর (বুধবার)। এর পরদিন থেকেই (২৯ অক্টোবর) নিষেধাজ্ঞামুক্ত হচ্ছেন সাকিব আল হাসান। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী নভেম্বরের মাঝামাঝি (বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের ঘোষণা অনুযায়ী ১৫ নভেম্বর শুরু) যে পাঁচ দলকে নিয়ে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট শুরু হবে, সেটি দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে মাঠে ফিরবেন সাকিব আল হাসান।
সাকিব এমনিতেই ‘চ্যাম্পিয়ন’, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের তকমা গায়ে ছিল অনেকদিন। এর বাইরে তার কত নাম- বাংলাদেশের প্রাণ, বাংলাদেশের জান, সাকিব আল হাসান, সব্যসাচি ক্রিকেটার, সেরাদের সেরা, ব্যাট-বলের সফল যোদ্ধা, টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্টসহ নানান বিশেষণ।
কিন্তু আইসিসির বেঁধে দেয়া নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে এক বছর মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে সাকিবকে। ভক্ত-সমর্থকদের উন্মুখ অপেক্ষা, কবে আসবে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, কখন আবার মাঠে দেখা মিলবে প্রিয় ক্রিকেটার, সফল পারফরমার ও জগতশ্রেষ্ঠ অলরাউন্ডারের। খুব স্বাভাবিকভাবেই সাকিবের মত বিশ্বনন্দিত ক্রিকেটারের ফেরা মানেই বড় ব্যাপার, হইহই কান্ড।
তাই আসন্ন পাঁচ দলের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট পাচ্ছে এক ভিন্ন মাত্রা। এখন প্রশ্ন হলো, যদি প্রেসিডেন্টস কাপের মত নির্বাচকরা তথা বিসিবি দল সাজিয়ে দেয় তাহওলে সাকিব কোন দলে খেলবেন? তাকে পেতে আগ্রহী সবাই। ভেতরের খবর হলো, সাকিবের ‘কামব্যাক’ টুর্নামেন্ট বলে আসন্ন টি-টোয়েন্টি টোয়েন্টি আসরটি এরই মধ্যে পেয়েছে বাড়তি গুরুত্ব।
শুরুতে না হলেও এখন এই করোনাকালীন সময়েও সাকিবকে পেতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে কিছু কর্পোরেট হাউজ। বিসিবির কাছেও কয়েকটি কর্পোরেট হাউজ এবং ব্যক্তিগতভাবে কেউ কেউ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে টিম স্পন্সর হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বলা বাহুল্য, সেটার বড় কারণ সাকিব আল হাসান।
গত ২৫ অক্টোবর প্রেসিডেন্টস কাপের ফাইনালের পরে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও জানিয়ে বলেছেন, ‘কী ধরনের টুর্নামেন্ট হবে, সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে, পাঁচ দলের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট শুরু হবে ১৫ নভেম্বর।’ বিসিবি সভাপতি এও জানিয়েছেন, এই টুর্নামেন্টে খেলবেন সাকিব আল হাসান। কারণ, তার আগেই নিষেধাজ্ঞামুক্ত হবেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
বিসিবি সভাপতি আরও বলেছেন, ‘কিছু স্পন্সর আছে যারা এই টুর্নামেন্টে আমাদের (বিসিবির) সঙ্গে থাকতে চায়। তবে তারা বিপিএলের কোনো স্পন্সর নয়। সবাই নতুন। এখন যদি পাঁচ দলের জন্য স্পন্সর পাওয়া যায়, তাহলে এটা কর্পোরেট লিগ হলেও হতে পারে।’
এদিকে শেষ খবর, টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটিতে দল নিতে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্পপতিদের আগ্রহ দেখে বিসিবিও টিম স্পন্সর খোঁজার কাজ শুরু করে দিয়েছে। বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ‘বিসিবি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে স্পন্সর খুঁজছে। এজন্য প্রচার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজ্ঞাপনও দেয়া হবে। আগ্রহীদের টিম স্পন্সর হওয়ার জন্য বলা হবে।’
বিসিবি সিইও যোগ করেন, ‘এমন নয় যে শুধু প্রতিষ্ঠিত বা ও বড়সড় কর্পোরেট হাউজই হতে হবে, বিসিবির শর্তপূরণ করে যেকোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানও যদি আগ্রহ দেখায়, তিনিও হতে পারবেন স্পন্সর।’
যত দূর জানা গেছে তা হলো, সব দলের স্পন্সর পেলে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট প্লেয়ার্স ড্রাফটের মধ্যেও হতে পারে। কারণ বেশিরভাগ স্পন্সরেরই লক্ষ্য সাকিব আল হাসান। একবছর পর মাঠে ফেরার অপেক্ষায় থাকা সাকিবকে রেখে দল গড়তে পারলে বাড়তি ‘মিডিয়া মাইলেজ’ মিলবে- সেদিকটাও মাথায় আছে আগ্রহীদের।
মন্তব্য ( ০)