• মুক্তমত

করোণা ভাইরাসে আক্রান্ত বিশ্ব: প্রয়োজন দায়িত্বশীলতা ও প্রতিরোধ

  • মুক্তমত
  • ০৯ মার্চ, ২০২০ ১২:৫৪:৫৬

ডা. মো. ছায়েদুল হকঃ বিশ্বে বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত ও ভয়ঙ্কর শব্দটি হলো করোণা ভাইরাস বা কোবিড-১৯ । করোণা ভাইরাসের সাথে পূর্ব পরিচিত হলেও করোণা ভাইরাসের নতুন এই স্ট্রেইনটি অর্থাৎ COVID-19 সম্পর্কে কিছুদিন আগেও বিশ্ববাসির কোন ধারণা ছিল না।২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনের উবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম এই ভাইরাসটি মানবদেহে শনাক্ত হওয়ার পর চমকে যায় বিশ্ব।ভাইরাসটি শ্বাষনালীতে প্রথম সংক্রমিত হয়। প্রথমে জ্বর; গলা ব্যথা; মাথা ব্যাথা, শরীরে ব্যাথা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয় যেমনটি সাদারণ সর্দি জ্বরে হয়ে থাকে।এর সাথে দ্রুতই শুকনো কাশি এবং সপ্তাহ খানেকের মধ্যে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়।এমতাবস্থায় অনেকেরই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মত অবস্থা সৃষ্টি হয়ে থাকে। ২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহান শহরে অজ্ঞাত কারণে নিউমোনিয়ার মত সমস্যাটি প্রথম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নজরে আসে ৩১শে ডিসেম্বর।২০২০ সালের ৩০শে জানুয়ারী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটিকে পাবলিক হেল্থ ইমারজেন্সি অব ইন্টারন্যাশনাল কনসার্ণ বা বৈশ্বিক জরুরী অবস্থা ঘোষনা করে।কয়দিন পর ১১ই ফেব্রুয়ারী ২০২০ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটির নামকরণ করে কোবিড ১৯।বর্তমানে এন্টার্ক্টিকা বাদে বাকী সব কয়টি মহাদেশের প্রায় ১০০ টির অধিক দেশে করোণা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।সর্বশেষ বাংলাদেশও এই তালিকার অন্তর্ভূক্ত। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে দেক্ষিণ কোরিয়া, ইটালি, ইরান রয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে এবং মৃতের সংখ্যা তিন হাজারের উপরে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যে হাই এলার্ট জারি করেছে স্বল্প সময়ের মধ্যে বিস্তৃত এই করোণা সংক্রমনের ব্যাপারে গবেষণা চললেও এখনও খুব বেশী তথ্য উপাত্য বিজ্ঞানীদের কাছে স্পষ্ট নয়। তবে যেটুকু ইতিমধ্যে জানা গেছে তার উপর ভিত্তি করেই চলছে এর চিকিসা ও প্রতিরোধ প্রচেষ্টা। ভাইরাসটি একধরণের জোনটিক গ্রুপের ভাইরাস। এর মানে হলো এটি সাধারণভাবে পশু পাখী জাতীয় প্রানীর দেহে সাধারণভাবে থাকে এবং কোন এক মাধ্যম দ্বারা এটি মানব দেহে সংক্রমিত হয়ে থাকে।বাদুরকে মনে করা হয় করোণা ভাইরাসের প্রাথমিক উৎস বা হোস্ট। বাদুর থেকে এটি মধ্যবর্তী কোন প্রানীর দেহে সংক্রমিত হয়েছে এবং এই প্রানী থেকে ভক্ষনের মাধ্যমে বা সংস্পর্শের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করেছে।মানবদেহে করোণা ভাইরাসের অস্তিত্ব আগেও ছিল। ২০০২ সালের আগে এটি ছিল নিতান্তই মামুলি একধরনের সংক্রমন।সাদারণ সর্দি জ্বর যা কালে ভদ্রে শিশু এবং বার্ধক্যে নিউমোনিয়ার মত জটিল আকার ধারণ করতে দেখা যেত। ২০০২ সালে প্রথম সার্স বা সিভিয়ার একিউট রেসপাইরেটরি সিন্ড্রোম এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।এটিও চিনের মূলভূখন্ডে প্রথম শনাক্ত হয়। মনে করা হয় এটি কুকুরের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করেছে। এর পরে ২০১২ সালে মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি অরবে শনাক্ত হয় মার্স বা মিডল ইস্ট রেসপাইরেটরি সেন্ড্রোম।মনে করা হয় এটি উটের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করেছে।এগুলি একই করোণা ভাইরাসের সংক্রমন হলেও আলাদা আলাদা স্ট্রেইন বা টাইপ। করোণা ভাইরাসের সংক্রমনে ৮১ শতাংশ ক্ষেত্রে মৃদু উপসর্গ দেখা দেয়। ১৪ শতাংশ ক্ষেত্রে এটি তীব্র আকার ধারণ করে এবং ৫ শতাংশ ক্ষেত্রে জটিল আকার ধারণ করে। এই রোগে মৃত্যুহার এখন অব্দি ১%-২%।তবে প্রাথমিক অবস্থায় চিনের উহানে মৃত্যু হার অনেক বেশী ছিল।করোণা ভাইরাস সংক্রমনে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুকিপূর্ণ হলো শিশু, বৃদ্ব, অসুস্থ্য বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ ইত্যাদি আক্রান্ত। অর্থাৎ যাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। ভাইরাস সংক্রমনের দুই সপ্তাহ পরে জ্বর, কাশি ইত্যাদি উপসর্গদেখা দিয়ে থাকে। সংক্রমন থেকে উপসর্গ প্রদানের মধ্যবর্তী এই সময়টিকে বলা হয় ইনকিউবেশন পিরিয়ড।ইনকিউবেশন পিরিয়ডের এই সময়টিতে সংক্রমনের বিষয়টি স্ক্রিনিংএ ধরা পড়ে না। যে জন্য বিভিন্ন বিমান বা স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশনে স্ক্রিনিং এর মধ্যেও সংক্রমনটি শনাক্ত নাও হতে পারে। এখন পরযন্ত করোণা ভাইরাসের কোন চিকিৎসা বা প্রতিষেধক আবিস্কার হয়নি। এব্যাপারে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।সহসাই বাজারে করোণা ভাইরাসের প্রতিষেধক প্রাপ্তির আশা নেই।তাই একমাত্র ভরসা করোণা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধ করা।করোণা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধ করা কোন সহজ কাজ নয়। ইতিমধ্যে এন্টির্ক্টটিকা বাদে সমস্ত মহাদেশের প্রায় ১০০ টির উপর দেশে করোণাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।সরকার , বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা অন্য কোন সংস্থার পক্ষে আলাদা আলাদাভাবে এখানে সফল হওয়ার কোন সূযোগ নেই।করোণা সংক্রমন ঠেকাতে হলে বৈশ্বিকভাবে আক্রান্ত অনাক্রান্ত নির্বিশেষে সকল দেশের সরকার , সমাজ, প্রতিষ্ঠান এমনকি ব্যাক্তিকেউ দায়িত্ব নিয়ে সম্মিলিতভাবে এর মোকাবেলায় সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে।করোণা ভাইরাস প্রতিরোধে বিভিন্ন দেশে সরকার সংক্রমিত এলাকা, প্রতিষ্ঠান, হোটেল ইত্যাদি যেখানেই সংক্রমনের উৎস পাচ্ছে সেখানেই দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে। প্রয়োজনে এলাকাটি সাধারন থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হচ্ছে। কোন এলাকায় বড় জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করা হচ্ছে। যেমন ইরানে কোন কোন শহরে জুমার নামাজের জমায়েত সাময়িক বন্ধ রেখেছে। সৌদি আরব ওমরা যাত্রীদের ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে। সুইজারল্যান্ডে ১ হাজার লোকের জমায়েত হয় এমন ইভেন্টে নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে।জাপানের সমুদ্র উপকূলে একটি প্রমোদতরীকে সকল যাত্রী ও ক্রুসহ সামুদ্রেই অপেক্ষমান রাখা হয়েছিল।বিভিন্ন বিমান বন্দর ও ইমিগ্রেশনে স্ক্রিনিং এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে কিছুদিন আগে চীনের উহান ফেরৎ একদল শীক্ষার্থীকে হাজী ক্যাম্পে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছিল।ইনকিউবেশন পিরিয়ডের ১৪ দিন শেষ হলে এদের কেউ করোনা আক্রান্ত ছিল না নিশ্চৎ হওয়ার পরই এদেরকে পরিবারের সাথে মিলিত হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এসবই করা হচ্ছে যাতে করোণা সংক্রমণ এক দেশ থেকে অন্যত্র ছড়িয়ে না পড়ে।তারপরেও করোণা ভাইরাস থেমে নেই। বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় মানুষের চলাফেরা সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রন করা বা গতিবিধি তদারকি করা কোন সরকার বা কোন প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সম্ভব নয়।তাই করোণা সংক্রমন প্রতিরোধে সরকার, সরকারী এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ইত্যাদির পাশাপাশি ব্যাক্তি উদ্যোগও খুবই জরুরী।এক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কিছু দিকনির্দেশনা করোণা প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখতে সহায়ক হবে। ব্যাক্তিগত পরযায়ে নিজেকে সংক্রমনমুক্ত রাখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার সূযোগ আছে। এসব পদক্ষেপ যেমন নিজেকে সংক্রমন মুক্ত রাখবে তেমনি সংক্রমিত ব্যাক্তি থেকে অন্যদেরকে সংক্রমমুক্ত রাখতে সাহায্য করবে। সংক্রমিত ব্যাক্তির সংস্পর্শে যাওয়া যাবে না।নিয়মিত হাত ও মুখমন্ডল ভালো করে সাবান পানি দিয়ে পরিস্কার রাখতে হবে।চোখে মুখে হাতের স্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। হাঁচি কাশি হলে অবশ্যই রুমাল বা টিস্যু দিয়ে মুখ ঢেকে রাখতে হবে যাতে হাঁচি কাশির সাথে নি:র্গত শ্লেষ্মা অন্যের গায়ে না লাগে। রুমাল বা টিস্যু না থাকলে পরিধানের কাপর বিশেষ করে শার্টের আস্তিন দিয়ে নাক মুখ ঢেকে নিতে হবে। কারণ সংক্রমিত ব্যাক্তি থেকে হাঁচি কাশির শ্লেষ্মার সাথে ভাইরাসের জীবানু ছড়ায়। সংক্রমিত ব্যাক্তির হাঁচি কাশির সাথে নি:র্গত শ্লেষ্মার কণা সুস্থ কারো নাকে মুখে স্পর্শ করলে সেখান থেকে নি:শ্বাসের সাথে ভাইরাসটি সুস্থ লোকের দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করার সূযোগ পায়। এই সূযোগে দেহাভ্যন্তরে পৌছে শ্বাসনালীতে ভাইরাসটি সংখ্যাবৃদ্বি করতে থাকে এবং সংখ্যাবৃদ্বির একটি পরযায়ে ব্যাক্তিটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। সংখ্যাবৃদ্বির এই সময়টিই হলো ইনকিউবেশন পিরিয়ড গননায় মোটামুটি ১৪ দিন।হাঁচি কাশির শ্লেষ্মা ও নি:শ্বাসের মাধ্যমে ভাইরাস বা অন্যান্য রোগজীবানু ছড়ানোর এই পদ্বতিকে বলা হয় ড্রপলেট ইনফেকশন।সংক্রমিত ব্যাক্তির হাঁচি কাশির সময় উক্ত ব্যক্তির কাছ থেকে অন্তত ১ মিটার দূরে থাকতে হবে ড্রপলেট ইনফেকশন থেকে নিরাপদ থাকার জন্য।এক্ষেত্রে উভয়ের জন্য ফেস মাস্ক ব্যবহার করা জরুরী।বিশেষ করে যারা করোনা আক্রান্ত এলাকা ভ্রমনে থাকবেন বা বিমান বন্দরে যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের প্রচুর অপরিচিত মানুষের সমাগম থাকে সেখানে অবশ্যই এটি খেয়াল রাখতে হবে।সম্ভব হলে এই সময়টিতে বিদেশ ভ্রমন স্থগিত রাখাই ভালো।ভ্রমন শেষে বিশেষ করে সংক্রমিত দেশ থেকে ফেরার পর ইনকিউবেশন পিরিয়ডের ১৪ দিন নিজেকে স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইনে রাখা অর্থাৎ নিজ গৃহে অবস্থান করাই নিরাপদ। আর যদি ভ্রমনকালীন বা তার ঠিক পরবর্তী সময়ে গা ব্যাথা বা সর্দি কাশি বা জ্বর জ্বর ভাব থাকে তবে বিষয়টি গোপন না করে চিকিকসকের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ। ইমিগ্রেশনে বা সংক্রমিত এলাকায় যারা সরাসরি সংক্রমন নিয়ে কাজ করছেন( স্ক্রিনিং, চিকৎসা সেবা প্রদান, ল্যাব, করোনায় মৃত ব্যক্তির সৎকার ইত্যাদি) তাদেরকে অবশ্যই পারশনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) ব্যবহার করতে হবে। পিপিই মানে হাতে গ্লোবস, ফেস মাস্ক, ফেস প্রটেক্টিং ডিবাইস, কোট ও গাউন। পিপিই-র ফেস মাস্কটি সাধারণ ফেস মাস্ক নয় বরং এটি হবে বিশেষ ধরনের ফেস মাস্ক যা .১ মাইক্রন সাইজের করোনা ভাইরাসকে আটকে দিতে পারে। সরকারী পরযায়ে অবশ্যই স্ক্রীনিং এর ব্যাপারে সরোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে বিমান ও স্থলবন্দরে স্ক্রীনিং জোড়দার করতে হবে। সংক্রমিত দেশ থেকে আগত লোকদের স্ক্রীনিং এবং স্ক্রীনিং পরবর্তী তদারকির ব্যবস্থা রাখতে হবে।শনাক্তকরণ কিট ও প্রফেশনালদের জন্য পিপিই এর প্রয়োজনীয় সরবরাহ ও প্রাপ্তি নিশ্চৎ করতে হবে। করোনার ঝূকিপূর্ণদের কোয়ারেন্টাইন বা বিচ্ছিন্ন বসবাসের ব্যবস্থা ও করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখতে হবে। জনসাধারনের জন্য করোনা ভাইরাসের ঝূকি ও চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ের তথ্যাদি প্রাপ্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সাময়িকভাবে জনসমাগম ও শিশুদের স্কুল বন্ধ রাখার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তাতে কিছুটা সামাজিক চাপ ও শিশুদের মধ্যে করোণা ভাইরাসের ঝূকি অনেকটা কমে যাবে। বিদেশ ভ্রমনকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। প্রফেশনালদের বিশেষ করে হাসপাতালে বা নিজস্ব চেম্বারে যারা রুগী দেখবেন তাদেরকে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে করোণা আক্রান্ত কারো চিকিৎসার প্রয়োজন হলে অবশ্যই বিশেষ সতর্কতা হিসাবে নিজে মাস্ক ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে এবং একই ব্যবস্থা রোগীর জন্যও প্রযোজ্য। যথাসম্ভব রোগীর মুখমন্ডল এলাকা স্পর্শ না করার চেষ্টা করতে হবে। রোগী দেখা শেষ হলে অবশ্যই হাত সাবান দিয়ে ভাল করে ধুয়ে পরবর্তী কাজে মনোনিবেশ করতে হবে। সাবান পানির ব্যবস্থা না থাকলে সেনিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। পরিধেয় কাপর ডিটারজেন্ট দিয়ে ধূয়ে নিতে হবে। ডিটারজেন্ট ভাহরাসকে ধ্বংস করতে সক্ষম।মাস্ক নিয়ে যদিও বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা হচ্ছে তবে যারা করোণায় ঝূকিপূর্ণ বা সংক্রমিত তাদের সংস্পর্শে আসতে হলে অবশ্যই মাস্ক প্রয়োজনে পিপিই পড়তে হবে। মনে রাখতে হবে করোণা ভাইরাসের কোন প্রতিষেধক এখনো আবিস্কার হয়নি। তাই প্রতিরোধ ও সংক্রমন সীমিত করাই হবে মূল লক্ষ্য। চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও সার্জনএবং জনস্বাস্থ্য বিষয়ক লেখক।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo