• অর্থনীতি

কেমিক্যালই বাড়িয়েছে চুড়িহাট্টার আগুন

  • অর্থনীতি
  • ২৭ মে, ২০১৯ ১২:০৮:০৬

রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ কেমিক্যালই বাড়িয়েছিল আগুন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) রাসায়নিক পরীক্ষায় বিষয়টি বেরিয়ে এসেছে।চকবাজার থানায় দায়ের করা মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে বৃহস্পতিবার বিকালে রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন দাখিল করে সিআইডি। রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন ও কর্মকর্তা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সিআইডির ফরেনসিক পরীক্ষাগার কর্মকর্তারা বলছেন, চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ আগুনের সূত্রপাত যেভাবেই হোক না কেন, আগুনের ভয়াবহতা বাড়িয়েছে কেমিক্যাল। হাজী ওয়াহেদ ম্যানশনে জব্দ করা কেমিক্যাল আলামত পরীক্ষার পর সেখানে কেমিক্যালের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া যায়।ইথাইল অ্যালকোহল, বিউটক্সিইথানল, বিউটেন, আইসোবিউটেন, ইথার কেমিক্যালের উপস্থিতি মিলেছে রাসায়নিক পরীক্ষায়; যা নিজে জ্বলে এবং অন্যকে জ্বলতে সাহায্য করে। যে কারণে আগুনের ভয়াবহতা বেড়েছে।সিআইডির রাসায়নিক পরীক্ষাগার কর্মকর্তারা জানান, দেশব্যাপী আলোচিত ওই অগ্নিদুর্ঘটনার রহস্য উন্মোচনের জন্য চকবাজার থানায় মামলা হয়। বিশেষজ্ঞ মতামতের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) রাসায়নিক পরীক্ষাগারে ক্রাইমসিনে সংগৃহীত বিভিন্ন নমুনা আদালতের ক্ষমতাপত্র ও আদেশনামাসহ ১৮ মার্চ সিআইডির রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। সিআইডির রাসায়নিক পরীক্ষাগারের প্রধান পরীক্ষক ড. দিলীপ কুমার সাহা যুগান্তরকে বলেন, মহাখালীর রাসায়নিক পরীক্ষাগারে আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে রাসায়নিক বিশ্লেষণ করে নমুনাসমূহে প্রাপ্ত রাসায়নিক পদার্থের প্রতিবেদন দেয়া হয়। তিনি বলেন, চুরিহাট্টার আগুনের ঘটনায় ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশে ক্রাইমসিন টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। অগ্নিকাণ্ডের জন্য দায়ী সম্ভাব্য সব ধরনের নমুনা সংগ্রহ করেন রাসায়নিক পরীক্ষক পিংকু পোদ্দার এবং আদালতের মাধ্যমে রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য পাঠান। আলামত পরীক্ষার জন্য তিন সদস্যের বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ডের সদস্যরা হলেন- রাসায়নিক পরীক্ষক নজরুল ইসলাম এবং দুই সহকারী রাসায়নিক পরীক্ষক মজিবুর রহমান শরীফ ও বদরুন্নেসা। ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে পাঁচটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৬৭ জনের মৃত্যু হয়।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo