• খেলাধুলা

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বড় জয়ে ঘুরে দাঁড়াল টাইগাররা

  • খেলাধুলা
  • ১৫ নভেম্বর, ২০১৮ ১৪:০৫:৪৭

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের ইতিহাসে হারটাই লেখা থেকে যাবে আজীবন। বাংলাদেশকে লজ্জায় ডুবিয়ে ১-০ ম্যাচে সিরিজে এগিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। সেই ম্যাচে হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিয়ে রেখেছিলেন টাইগার অধিনায়ক। ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল দলের সবাই। যেমন কথা তেমন কাজ। চাওয়া ছিল এই ম্যাচে জিতে সিরিজ সমতা। চাওয়ার সঙ্গে পাওয়াটাও মিলে গেল। ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের জয়। বাঘেরা বাঘের মতোই খেলে হারিয়েছে জিম্বাবুয়েকে। গোটা ম্যাচেই আধিপত্য ছিল স্বাগতিকদের। প্রথম ইনিংসে মুমিনুলের ১৬১ রানের ইনিংস। মুশফিকের ইতিহাস গড়া দ্বিশতক (২১৯*)। উইকেট কিপার-ব্যাটসম্যান হয়ে দুটি ডাবল সেঞ্চুরি। সবমিলে ৫২২ রানের বিশাল সংগ্রহ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে সফরকারীরা পড়ে ফলোঅনে। তাইজুল ইসলামের টানা তৃতীয়বারের মতো পাঁচ উইকেট। ৩০৪ রানে অল আউট জিম্বাবুয়ে। ফলোঅন না করিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের। তবে শুরুটা সুখকর হয়নি মোটেও। মিডল অর্ডারে নেমে প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে বিদায় নেয়া অভিষিক্ত মোহাম্মদ মিঠুন দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেন ৬৭ রানের ইনিংস। দলের ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বললেও ঘুরে দাঁড়ানোর বড্ড দরকার ছিল মাহমুদুল্লাহ রিয়াদেরও। খেললেন অনবদ্য শত রানের ইনিংস। দীর্ঘ আট বছর পর পেলেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট শতক। সব মিলে ৪৪৩ রানের বিশাল লিড ছুঁড়ে দেয় জিম্বাবুয়েকে। এত বড় ইনিংস টপকে ইতিহাস গড়া অন্তত জিম্বাবুয়ের জন্য না সেটা ভালো জানা তাদেরও। আগের ইনিংসে তাইজুলের পাঁচ উইকেট আর শেষ ইনিংসে মিরাজের পাঁচ। টেইলরের অপরাজিত শতকও ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি জিম্বাবুয়ের। নিজে অপরাজিত ছিলেন তবে যাওয়া আসার খেলা দেখেছেন সতীর্থদের। শেষ পর্যন্ত ২২৪ রানেই শেষ। দলের হয়ে দুটি উইকেট তুলে নেন তাইজুল। একটি উইকেট শিকার কররেন মুস্তাফিজুর রহমান। ২১৮ রানের বিশাল জয়ে সিরিজ সমতা বাংলাদেশের। সমতা না বলে অবশ্য মান বাঁচানো বললেও খারাপ হবে না!

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo