• অর্থনীতি

বিদেশের মধ্যে বাণিজ্য যোগাযোগ বাড়াতে সব ধরনের অবকাঠামোর ক্ষেত্রে অধিকতর সামঞ্জস্য দরকার: ড. আতিউর রহমান

  • অর্থনীতি
  • ১৫ নভেম্বর, ২০১৮ ১৮:২৮:০৮

“বাংলাদেশ, ভূটান, ভারত ও নেপাল (বিবিআইএন)-এর মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে এই উপ-অঞ্চলের দেশগুলোর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো গুলোর মধ্যে অধিকতর সামঞ্জস্য নিশ্চিত করতে হবে।” - বলেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং উন্নয়ন সমন্নয়ের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। গতকাল (১৪নভেম্বর ) কোলকাতায় ‘ফ্যাসিলিটেটিং ইমপ্লিমেন্টেশন অফ ট্রেড, ট্রান্সপোর্ট এন্ড ট্রানজিট বিটুইন বিবিআইএন কান্ট্রিজ’ শিরোনামে একটি সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ভারতের কাটস ইন্টারন্যাশনালের আয়োজনে এই সেমিনারে কোলকাতায় নেপালের কনসাল জেনারেল একনারায়ান আরয়াল এবং জাপানের কনসাল জেনারেল মাসায়ুকি তাগা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্যানেল আলোচক হিসেবে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- এডিবির রিজিওনাল কো-অপারেশন এন্ড ট্রেড কনসালটেন্ট সাতিশ কে রেড্ডি, বিআইডিএস-এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো। ড. নাজনিন আহমেদ, নেপাল ইকোনমিক ফোরামের চেয়ারম্যান সুজিব শাকয়া এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের এমেরিটাস ফেলো ড. এ কে এনামুল হক। আলোচকরা বিবিআইন-মোটর ভেহিকেল এগ্রিমেন্ট (বিবিআইএন-এমভিএ) বাস্তবায়ন দ্রুততর করার ওপর বিশেষ জোর দেন। এ জন্য তৃণমূল থেকে শুরু করে নীতি নির্ধারক মহল পর্যন্ত সকল পর্যায়ে এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো দরকার বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেন। ড. আতিউর রহমান আরো বলেন, এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দের মধ্যে অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় অধিকতর সমঝোতা ও বোঝাপড়া বিরাজ করছে। অন্য দিকে দেশগুলোর মধ্যে আরও বেশি পরিমাণ বাণিজ্যের চাহিদাও রয়েছে যথেষ্ট মাত্রায়। কাজেই এই ইতিবাচক রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুবিধা নিয়ে আরও বেশি পরিমাণ আন্ত:দেশীয় বাণিজ্যের সুযোগ তৈরি করা এখন সময়ের দাবি। বিবিআইএন-এমভিএর মাধ্যমে সকল দেশ যে সুফলগুলো ভোগ করতে পারে তা সর্বস্তরের মানুষের কাছে তুলে ধরার ওপর বিশেষ জোর দেন ড. আতিউর রহমান। এবং বলেন যে, আধুনিক প্রযুক্তি এ ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়তা কারবে। বাণিজ্য সহজিকরণ বিষয়ে আলোচকবৃন্দ যে সমস্ত নীতি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন সেগুলো প্রসঙ্গে ড. আতিউর রহমান বলেন যে, এ সব প্রস্তাবানা স্থল, রেল ও পানি পথে বাণিজ্য সহজিকরণ নিয়ে চলমান আলোচনাকে আরও বেগবান করবে। তিনি বলেন, মোটর যান চুক্তি (এমভিএ) কেবল পারস্পরিক সহযোগিতার সূত্রপাত ঘটাতে পারে, সড়ক পথের পাশাপাশি অন্যান্য পথেও বাণিজ্য সহজিকরণের উদ্যোগ আগামীতে দরকারি হবে। জাতিগত কিংবা সাংস্কৃতিক বাঁধাগুলো নিয়ে খুব বেশি ভাবিত না হওয়ার পক্ষে মত দিয়ে তিনি আরো বলেন যে, বিবিআইন দেশগুলো বহু পুরোনো যৌথ আঞ্চলিক সংস্কৃতির ধারক হওয়ায় এসব বাঁধা অতিক্রম করা খুব কঠিন হবে না।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo