ছবিঃ সিএনআই
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ‘কালো সোনা’খ্যাত পেঁয়াজ বীজ চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ঠাকুরগাঁওয়ের চাষিরা। চলতি বছর জেলায় ২৩ কোটি টাকার পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত কয়েক বছরে ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় এবারও বীজ চাষে আগ্রহ দেখিয়েছেন কৃষক।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল গ্রামে মাঠের পর মাঠে দেখা মেলে সাদা রঙের ফুলে ছেয়ে যাওয়া পেঁয়াজ বীজের ক্ষেত। এসব ক্ষেত করে শুধু কৃষকেরাই লাভবান হননি, স্থানীয় ?যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
চাষিরা বলছেন, পরাগায়ন না হলে পেঁয়াজ ফুলে পরিপক্বতা আসে না। পরাগায়ন হয়ে থাকে মূলত মৌমাছির মাধ্যমে। তবে কীটনাশক ব্যবহারের কারণে বীজের ক্ষেতে মৌমাছির আনাগোনা কমেছে। ফলে ঝাড়ু ও হাত দিয়ে কৃত্রিম পরাগায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকেরা।
পেঁয়াজের বীজ চাষ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন রহিমানপুর গ্রামের কৃষক আবু সুফিয়ান। তিনি বলেন, এ বছর তিনি প্রায় ৮ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের বীজ চাষ করেছেন। তার উৎপাদিত পেঁয়াজ বীজ সরবরাহ করা হয় দেশের বিভিন্ন জেলায়। ফলন ভালো হওয়ায় প্রায় ৪ লাখ টাকা মুনাফার আশা করছেন তিনি। মাটি ও আবহাওয়া পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের জন্য উপযোগী হওয়ায় এ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন জেলার অন্য কৃষকরাও।
পেঁয়াজ ক্ষেতে দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা মজুরিতে কাজ করেন স্থানীয় যুবকরা। উপার্জিত অর্থ দিয়ে পরিবারকে সহায়তা করছেন।ছাত্রী লাভলী বলেন আমি পড়ালেখার পাশাপাশি পেঁয়াজ খেতে কাজ করি কাজ করে ৪০০ টাকা পাই তাতে আমার পরালেখার খরচ চলে যায়।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) আলমগীর কবির বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় ১১২ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজ আবাদ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় এক হেক্টর কম। প্রতি হেক্টরে ৯০০ কেজি বীজ হলে, যার বাজারমূল্য প্রায় ২৩ কোটি টাকা।
জব ডেস্কঃ ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডে ‘সার্ভিস আরএম/...
নিউজ ডেস্কঃ চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল...
লাইফস্টাইল ডেস্ক: গরমের সবজি তেতো করলা। তেতো হলে কী হবে এ...
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ গাজায় ইস্যুতে ইসরায়েলের সঙ্গে সব ...
মন্তব্য ( ০)