• সমগ্র বাংলা

 স্ত্রীর মৃত্যুর ১০ মিনিট পর মারা গেলেন স্বামী!

  • সমগ্র বাংলা
  • ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২২:০২:০৭

ফাইল ছবি

পাবনা প্রতিনিধিঃ একযুগ আগে নিজেরাই পছন্দ করে বিয়ে করেন সরোয়ার হোসেন (৩৬) ও লাইলী খাতুন (৩০) দম্পতি। সরোয়ার পেশায় একজন অটো ভ্যানচালক। 

সংসারে অভাব অনটন থাকলেও, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসার কোন অভাব ছিল না। আট বছরের এক সন্তানকে নিয়ে তাদের ছিল সুখের সংসার। তাইতো অসুস্থ স্ত্রীর মৃত্যুর শোক সহ্য করতে না পেরে দশ মিনিট পরে সরোয়ারও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এমন হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটেছে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। মুহূর্তের ব্যবধানে এই দম্পতির মৃত্যুতে এ সময় পুরো হাসপাতালে শোকের ছায়া নেমে আসে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের চক্রপাড়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে সরোয়ার। তিনি অটোভ্যান চালিয়ে এবং দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতেন। কিছুদিন ধরেই সরোয়ারের স্ত্রী লাইলী অসুস্থতা বোধ করছেন। স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসাও দিয়েছেন সরোয়ার। এরপর ক

গত দু'দিন আগে আরো অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন লাইলী। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার বিকেলে অবস্থার অবগতি ঘটলে লাইলীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসেন তার স্বামী। এ কিছুক্ষণ পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় লাইলী। এ সময় চিৎকার করে কান্না করতে থাকেন স্বামীর সরোয়ার। ১০/১৫ মিনিট পর তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ সময় চিকিৎসক চেষ্টা করেও সরোয়ারের জ্ঞান ফেরাতে পারেননি। 

ভাঙ্গুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ফাহমিদা সুলতানা বলেন, স্ত্রীর মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে তার স্বামী কার্ডিয়াক এরেস্ট হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে প্রাধমিকভাবে ধারণা করছি। মানুষ হঠাৎ করে বেশি শক খেলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।

পার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হেদায়েতুল হক বলেন, অল্প  সময়ের ব্যবধানে স্বামী-স্ত্রীর এমন মৃত্যু খুবই দুঃখজনক। স্বামী-স্ত্রী এমন মৃত্যুতে গ্রামের সবাই শোকাহত। 

এদিকে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জানাযা নামাজ শেষে স্থানীয় ভেড়ামারা কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo