• আন্তর্জাতিক
  • লিড নিউজ

আবারও ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলায় গাজায় ৭ শিশুসহ নিহত ৪৩

  • আন্তর্জাতিক
  • লিড নিউজ
  • ২১ অক্টোবর, ২০২৩ ১০:৩৬:৩৭

ছবিঃ সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের নতুন হামলায় সাত শিশুসহ অন্তত ৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। শনিবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও সংবাদমাধ্যমগুলো এমন তথ্য জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ওয়াফা সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, যুদ্ধবিমান দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় আঘাত হেনেছে। এতে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, উত্তর গাজার জাবালিয়ায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় ১৪ জন নিহত হয়েছে। খবর আনাদুলু এজেন্সির ওয়াফা জানিয়েছে, পশ্চিম রাফাহ শহরের একটি বাড়ি লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলায় তিন শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে। শহরের একটি বাড়িতে আরেকটি হামলায় দুইজন নিহত হয়েছে এবং সাতজন ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়েছে। 

ফিলিস্তিনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান দুটি বাড়িতে হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছে।পূর্ব রাফাতে একটি বাড়িতে পৃথক হামলায় চার শিশু ও একজন নারী নিহত হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। এরপর ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৪,১০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন হাজার মানুষ। অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচারে হামলা করছে ইসরায়েল। হাসপাতাল, স্কুল এবং আশ্রয়কেন্দ্রও হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। 

অপরদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ১৪০০ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া হামাসের হাতে আটক রয়েছে দুই শতাধিক মানুষকে ইসরায়েল থেকে জিম্মি করেছে। তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছে।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার সঙ্গের মিশরের একমাত্র যোগাযোগ পথ রাফাহ ক্রসিং পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। এ সময় তিনি সেখানে থাকা শত শত ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় দ্রুত পাঠানোর অনুরোধ করেছেন। গাজায় জরুরি ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর জন্য নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। 

গাজায় ত্রাণ সরবরাহের সম্ভাবনা মাথায় রেখে শুক্রবার রাফাহ ক্রসিং পৌঁছেছেন গুতেরেস। এখানে শতাধিক ট্রাক ত্রাণ নিয়ে গাজায় প্রবেশের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে। গাজায় প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত একমাত্র পথ এই রাফাহ ক্রসিং।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, গাজায় ত্রাণ সরবরাহে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আমরা সব পক্ষের সঙ্গে এই বিধিনিষেধের বিষয়ে স্পষ্ট হতে কাজ করছি। যাতে এসব ট্রাক যেখানে প্রয়োজন সেখানে পৌঁছাতে পারে। যত দ্রুত সম্ভব এসব ট্রাক আমাদের নিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, মানবিক ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো গাজায় প্রবেশের জন্য প্রস্তুত। এই ট্রাকগুলো জীবনরক্ষাকারী। এগুলো অনেক মানুষের জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে পার্থক্য।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার রাতে বলেছিলেন, শুক্রবার নাগাদ ত্রাণ নিয়ে গাজায় প্রায় ২০টি ট্রাক প্রবেশ করতে পারে। এ বিষয়ে মিশরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার সমঝোতা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সময় শনিবার সকাল পর্যন্ত গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo