• অর্থনীতি

দেশের শেয়ারবাজারে পতন থেকে বের হওয়ার আভাস, মূলধনে ৮০০ কোটি টাকা যোগ

  • অর্থনীতি
  • ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১২:০৫:৩৪

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ পতন থেকে বের হওয়ার আভাস দিচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার। গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী ছিল। একই সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।

অবশ্য দাম বাড়া বা কমার থেকে দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি। দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগের শেয়ার বা ইউনিট দাম ফ্লোর প্রাইসে (সর্বনিম্ন দাম) আটকে রয়েছে। ক্রেতা সংকট থাকার কারণে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট বিক্রি করতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা।

তবে দাম কমার থেকে দাম বাড়ার তালিকায় বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান থাকায় সপ্তাহের ব্যবধানে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ৮০০ কোটি টাকার ওপরে বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে সবকয়টি মূল্যসূচক। এর মাধ্যমে টানা দুই সপ্তাহ মূল্যসূচক বাড়লো। অবশ্য এর আগে টানা চার সপ্তাহ মূল্যসূচক কমে।

টানা চার সপ্তাহ মূল্যসূচক কমার পর দুই সপ্তাহ সূচক বাড়ার পাশাপাশি দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। কিছুদিন আগে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন দুইশ কোটি টাকার ঘরে নেমে গিয়েছিল। সেই লেনদেন এখন বেড়ে চারশ কোটি টাকার ঘরে চলে এসেছে।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯০টির শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৮টির। আর ২২৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭৬ হাজার ৫৭ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ৭৫ হাজার ২২৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৮৩৩ কোটি টাকা বা শূন্য দশমিক ১১ শতাংশ। বাজার মূলধন বাড়ার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে।

এদিকে, বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৯ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৩১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ২৫ দশমিক ২৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ। এর মাধ্যমে টানা দুই সপ্তাহ ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়লো।

প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে বেড়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। গত সপ্তাহজুড়ে সূচকটি বেড়েছে ১১ দশমিক ১১ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৫২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৮ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪২ শতাংশ।

প্রধান মূল্যসূচকের মতো টানা চার সপ্তাহ কমার পর ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ সূচক টানা দুই সপ্তাহে বেড়েছে। গত সপ্তাহজুড়ে সূচকটি বেড়েছে ৬ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৭ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ।

সবকয়টি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনের গতিও কিছুটা বেড়েছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৪৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪৩৮ কোটি ১২ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা বা এক দশমিক ৭৪ শতাংশ।

আর সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২২৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয় ২ হাজার ১৯০ কোটি ৬১ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকা বা এক দশমিক ৭৪ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২২৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রূপালী লাইফ ইনস্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৭ কোটি ৩ লাখ টাকা। ৭৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা লেনাদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইস্টার্ন হাউজিং।

এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সোনালী পেপার, এমারেল্ড অয়েল, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, খান ব্রদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, জেমিনি সি ফুড এবং মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo