• অর্থনীতি

ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের শেয়ারবাজার

  • অর্থনীতি
  • ৩০ আগস্ট, ২০২৩ ১৭:২৩:৫৯

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ  এক কার্যদিবস কিছুটা মূল্য সংশোধনের পর দেশের শেয়ারবাজার ফের ঊর্ধ্বমুখী। সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকয়টি মূল্যসূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।

এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহের চার কার্যদিবসের মধ্যে তিনদিন শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকলো। আর শেষ পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকলো শেয়ারবাজার।

এর আগে গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস এবং চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবস শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। একই সঙ্গে দুইশ কোটি টাকার ঘরে নেমে যাওয়া লেনদেন বেড়ে পাঁচশ কোটি টাকার ঘরে চলে আসে।

তবে চলতি সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস বুধবার (৩০ আগস্ট) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে যায়। এতে মূল্যসূচকও কমে। পাশাপাশি লেনদেন কমে চলে আসে তিনশ কোটি টাকার ঘরে।

এ পরিস্থিতিতে বুধবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৫ পয়েন্ট কমে যায়।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকায় লেনদেনের আধাঘণ্টার মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে এরপর বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমে। এতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতাও কমে আসে। এমনকি এক পর্যায়ে সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।

তবে শেষ আধাঘণ্টায় বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার তালিকা থেকে বেরিয়ে দাম বাড়ার তালিকায় চলে আসে। এতে সবকয়টি মূল্যসূচক বেড়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়। অবশ্য এরপরও ডিএসইতে দাম বাড়ার থেকে দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলিয়ে ৭৩ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৪টির। আর ১৫৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ২ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৯৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ আগের দিনের তুলনায় শূন্য দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩৭১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় এক পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৩৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সবকয়টি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের গতিও বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪১৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৩৯১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ২১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।

গত কয়েক কার্যদিবসের মতো লেনদেনের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার। কোম্পানিটির ৫০ কোটি ২৭ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি ৪২ লাখ টাকার। ১৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- রূপালী লাইফ ইনস্যুরেন্স, এমারেল্ড অয়েল, জেমিনি সি ফুড, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, আরডি ফুড, এসকে ট্রিমস এবং সোনালী পেপার।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৪০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৬টির এবং ৬১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ১০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo