• বিশেষ প্রতিবেদন

চাটমোহরে ফসলি জমি ও নদীতে মাটি কাটার মহোৎসব

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ০৫ এপ্রিল, ২০২৩ ১৫:৫০:২৭

ছবিঃ সিএনআই

তোফাজ্জল হোসেন বাবু,পাবনাঃ পাবনার চাটমোহর উপজেলায় ফসলি জমি ও নদীতে মাটি কাঁটার মহোৎসব চলছে। উপজেলার গুমানী নদীর মাটি এবং অসংখ্য স্থানে খনন করা ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে। ফসলি জমির মাটি দিয়ে চলছে অবৈধ ইটভাটা। এলাকার অবৈধ ইটভাটার প্রভাবশালী মালিকরা মাটি ব্যবসায়ীদের সাথে যোগসাজসে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের সাথে রফাদফা করেই এমনটা চলছে বলে এলাকাবাসীর ধারনা। কারণ দীর্ঘদিন ধরেই ফসলি জমিতে পুকুর খনন করে এবং নদীতে এস্কেভেটর (ভেকু মেশিন) লাগিয়ে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। 

এদিকে অসংখ্য ট্রলি আর ডাম্পট্রাকে মাটি পরিবহণ করায় নষ্ট হচ্ছে গ্রামীন জনপদের রাস্তা-ঘাট। পাকা ও আধাপাকা রাস্তাগুলো ভেঙে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পরিবেশ হচ্ছে বিপন্ন। এলাকাবাসী অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাঁচ্ছেন না।

উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের ধরমগাছা ব্রিজের পাশে গুমানী নদীর পাড় দখল করে গড়ে ওঠা ‘মির্জাপুর ব্রিকস র্ফিড’ নামের ইটভাটার মাটি সড়কের উপর স্তুপ করে রাখা হয়েছে। ফলে চরম ঝুঁকিতে পড়েছে এ সড়কে চলাচলকারী যানবাহন ও সাধারণ মানুষ। 

এ বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. মমতাজ মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বললেও আজ অবধি এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেন নি। ছাইকোলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন সরকার ও মোশারফ কাজী নামের এক ব্যক্তি মহা উৎসাহে মাটি কেটে পুকুর খনন করছেন আর মাটি বিক্রি করছেন। বড় গুয়াখড়া গ্রামে একটি পুকুর খনন করে সেই মাটি রাতের আঁধারে পাঠানো হচ্ছে চাটমোহর পৌর এলাকার পাশে উথুলী নামক স্থানে খাল ভরাটের কাজে। ফলে চাটমোহর মহিলা ডিগ্রী কলেজ ও উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে যাতায়াতের একমাত্র সড়কটির বেহাল দশা। হান্ডিয়ালের দক্ষিণ পাটিয়াতা গ্রামে জনৈক আমজাদ হোসেন পুকুর খনন করছেন। পুকুর খননের ফলে জনৈক নুর মোহাম্মদের বাড়ি-ঘর ভেঙে পড়েছে। সমাজ বাজার এলাকায় মনিরুল ইসলাম নামক এক ব্যক্তি ফসলি জমি কেটে মাটি বিক্রি করছেন। 

উপজেলার হান্ডিয়াল, নিমাইচড়া, মুলগ্রাম, ডিবিগ্রাম, ফৈরজানা, ছাইকোলা, পাশ্বর্ডাঙ্গা ও হরিপুর ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানে রাত দিন ফসলি জমি কেটে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। মাটি পরিবহণের ফলে গ্রামীণ সড়কগুলোর বেহাল দশা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কারো কোন মাথা ব্যাথা নেই। 

অবৈধ ইটভাটার বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর পাবনার সহকারী পরিচালক নাজমুল হোসেন বলেন, আমরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তালিকা পাঠিয়েছি। জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালাবেন। আমরা সহযোগিতা করবো। 

চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. মমতাজ মহল বললেন, তথ্য দেন, আমি বিষয়টি দেখবো।  

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo