• বিশেষ প্রতিবেদন

চলনবিলের নদীর তলদেশে আবাদ হচ্ছে বিভিন্ন ফসল

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ২৬ জানুয়ারী, ২০২৩ ১৪:৩৯:৫৬

ছবিঃ সিএনআই

তোফাজ্জল হোসেন বাবু,পাবনাঃ দখল-দূষণসহ নানা কারণে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে চলনবিল অঞ্চলের নদ-নদী। শীত মৌসুমেই শুকিয়ে গেছে এ অঞ্চলের নদ-নদী। নদীর তলদেশে আবাদ হচ্ছে বিভিন্ন ফসলের।   

বিশেষ করে পাবনার চাটমোহরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত বড়াল নদ, চিকনাই ও গুমানী নদী এখন অস্তিত্ব সংকটে। বড়াল নদে গৃহস্থালি বর্জ্য, মুরগির বিষ্ঠা, পথিলিন ফেলায় তলদেশ ফুলেফেঁপে উঠেছে। দূষিত হচ্ছে আশপাশের এলাকার পরিবেশ। অবৈধ দখলদাররা যত্রতত্র স্থাপনা নির্মাণ করে বসবাস ও ব্যবসা বাণিজ্যে পরিচালনা করে আসছেন। ধান, সরিষাসহ নানা ধরনের সবজি চাষ করছেন বড়াল নদে। দূষণের কারণে বেড়েছে মশার উৎপাত। দীর্ঘদিন ধরে খনন না করা, সচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকারি কোনো উদ্যোগ না নেওয়া, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করা, প্রশাসনের উদাসীনতাসহ নানা কারণে একসময়ের খরস্রোতা বড়াল নদের এমন করুণ পরিণতি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।   

এদিকে চলমান গুমানী নদীর তলদেশে ইরি ও বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ হচ্ছে। গুমানী শুকিয়ে এখন চৌচির। পানি না থাকায় নদী কেন্দ্রিক সকল কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। নদীর মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। নদীর বুকে আবাদ করা হচ্ছে বোরো ধানের। দূষণ চলছে নানাভাবে। কিন্তু কারো কোন মাথাব্যাথা নেই। একই অবস্থা চিকনাই নদীর। 

সরেজমিন তিনটি নদী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বড়াল নদের পাড় দখল করে প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে গড়ে তুলেছেন বসতবাড়ি, দোকানপাটসহ নানা স্থাপনা। গৃহস্থালি বাড়ির বর্জ্যে দোকানপাটের উচ্ছিষ্ট পলিথিন ফেলা হচ্ছে বড়াল নদে। দখলদাররা প্রভাবশালী হওয়ার কারণে কেউ কোনো কথা বলার সাহস পান না। অনেকেই নদের তলদেশে ধান, সবজির চাষ করছেন। গুমানী নদীর মাটি চলে যাচ্ছে অবৈধ ইটভাটাগুলোতে। চিকনাই নদীর মাটিও কেটে নিচ্ছে প্রভাবশালীরা। দখলও চলছে। 

চলনবিল রক্ষা আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব ও বাপার নির্বাহী পরিষদের সদস্য এস এম মিজানুর রহমান বললেন, আমরা নদী বাঁচাতে আন্দোলন করছি। নদ-নদী মানুষের জন্য আশির্বাদ। বড়াল নদসহ এ অঞ্চলের সকল নদ-নদী খননসহ পানি প্রবাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করার দাবি আমাদের। দূষণরোধে পদক্ষেপ নিতে হবে প্রশাসনকে। তিনি বলেন, নদীকে বানানো হচ্ছে ময়লার ভাগাড়! নদীতে চাষাবাদ করা হচ্ছে। দখল তো আছেই। আমরা সামাজিক সংগঠন হিসেবে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি। কিন্তু স্থানীয় এবং ঊর্ধ্বতন প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় নদ-নদীরএমন করুণ পরিণতি। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. মমতাজ মহল বলেন, বড়ালের বিষয়টি নজরে এসেছে। নদ-নদী দখল ও দূষণকারীদের ব্যাপারে অতিসত্তর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo