• অপরাধ ও দুর্নীতি

নড়াইলে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামীর মৃত্যুদন্ডাদেশ

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ১৭ অক্টোবর, ২০২২ ২৩:০৭:৫৩

ছবিঃ সিএনআই

সোহেল রানা,নড়াইলঃ নড়াইলে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী মুক্তা মনি বেগমকে হত্যার অভিযোগে স্বামী লাভলু মীরকে মৃত্যুদন্ড ও ৫০হাজার টাকা জরিমানা এবং অপর ৪জন আসামীকে খালাস প্রদানের আদেশ দিয়েছেন নড়াইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) সানা মোঃ মাহ্রুফ হোসাইন। সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে বিচারক এ আদেশ দেন।

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত মোঃ লাভলু মীর জেলার লোহাগড়া থানার চর-বকজুড়ি গ্রামের লায়েব আলী মীরের ছেলে। খালাস প্রাপ্তরা হলেন চর-বকজুড়ি গ্রামের লায়েব আলী মীর, লাভলী বেগম, মামুন মীর ও মোসাঃ লিজা বেগম। রায় শোনার পর আসামী লাভলু মীর কাঠগড়ায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন। মামলার বিবরনে জানা যায়, ২০০৭ সালে লোহাগড়া থানার চরবকজুড়ি গ্রামে আসামী লাভলু মীরের সাথে মুক্তা মনি বেগমের বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে লাভলু স্ত্রী মুক্তা ও তার পরিবারের লোকজনের কাছে ২লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিল।

টাকা না পাওয়ার ক্ষোভে ২০১২ সালের ২১মে দুপুরে আসামীরা মুক্তা মনিকে শারিরীক নির্যাতন ও শ^াসরোধে হত্যা করে মধুমতি নদীতে ফেলে দেয়। আসামীরা কিছু সময় পর নাটক সাজিয়ে নিহত মুক্তা মনির লাশ পানি থেকে উঠায়ে বাড়িতে এনে পানিতে ডুবে মারা গেছে বলে জানায়। বাদীসহ তার আত্মীয় স্বজনরা আসামীদের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় যে, নিহত মুক্তা মনির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে এবং গলায় শ^াসরোধ করে হত্যার চিহৃ দেখতে পায়।

এ ঘটনায় নিহতের বোন সালেহা সুলতানা বাদী হয়ে নিহতের স্বামী লাভলু মীরসহ ৫জনকে আসামী করে ২০১২ সালের ৪জুন লোহাগড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিহতের স্বামী লাভলু মীর এবং লায়েব আলী মীর, লাভলী বেগম, মামুন মীর ও মোসাঃ লিজা বেগমকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আদালতে ৯জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহন শেষে আসামী লাভলু মীরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদন্ড ও ৫০হাজার টাকা জরিমানা এবং অপর ৪জন আসামীকে খালাস প্রদানের আদেশ দেন বিচারক। রায়ের বিষয়টি সরকারী পক্ষের আইনজীবী পিপি অ্যাডভোকেট এমদাদুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo