• অর্থনীতি
  • লিড নিউজ

বড় ঘাটতি নিয়ে জীবন-জীবিকার বাজেট

  • অর্থনীতি
  • লিড নিউজ
  • ০৪ জুন, ২০২১ ১১:৪৯:৩৯

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ মানুষের জীবন-জীবিকা গুরুত্ব দিয়ে এবারের বাজেট। প্রস্তাবিত এ বাজেটের আকার ছয় লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এতে ঘাটতি দুই লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ এবারও বড় ঘাটতির বাজেট। ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ঘাটতি এক লাখ ৮৭ হাজার ৪৫১ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৬ দশমিক ১ শতাংশ।

করোনাভাইরাস মহামারিকালে ‘জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে সুদৃঢ় আগামীর পথে বাংলাদেশ’ শিরোনামে বৃহস্পতিবার সংসদে বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাংলাদেশের ইতিহাসে ৫০তম বাজেট এটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের তৃতীয় বাজেট এটি। এতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় ধরা হয়েছে জনপ্রশাসনে। ভর্তুকি, প্রণোদনা, পেনশনসহ মোট পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের ১৮.৭ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এ খাতে। বরাদ্দের পরিমাণ এক লাখ ৮৫ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা। যদিও আনুপাতিক হারে এটি চলতি অর্থবছরের তুলনায় কিছুটা কম। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে জনপ্রশাসনে মোট বাজেটের ১৯.৯ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়।

প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে শিক্ষা ও প্রযুক্তিখাত। এ খাতে মোট বাজেটের ১৫.৭ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দের পরিমাণ ৮৫ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা। আনুপাতিক হারে চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় এ খাতে বরাদ্দ কিছুটা বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে মোট বরাদ্দের ১৫.১ শতাংশ দেওয়া হয় শিক্ষা ও প্রযুক্তিখাতে।

বাজেটে সরকার যে বাড়তি ব্যয়ের পরিকল্পনা নিয়েছে, তার সিংহভাগই হবে করোনাভাইরাস মহামারির প্রভাব মোকাবিলায়। এর অংশ হিসেবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবজনিত সংকট মোকাবিলায় আগামী অর্থবছরেরও ১০ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

আবার করোনাভাইরাসের কারণেই সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতা বাড়িয়েছে সরকার। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে মোট এক লাখ সাত হাজার ৬১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত এ বাজেটে, যা মোট বাজেটের ১৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং জিডিপির ৩ দশমিক ১১ শতাংশ। যেখানে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৯৫ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা।

আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে করের আওতায় আনার প্রস্তাব করা হয়েছে এ বাজেটে। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ কর দেওয়ায় সমর্থ হলেও কর প্রদানকারীর সংখ্যা বর্তমানে মাত্র ২৫ লাখ ৪৩ হাজার। ফলে কর ফাঁকি রোধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণসহ তাদের কর জালের আওতায় আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এ বাজেটে থাকবে। এছাড়া আমাদের রাজস্ব জিডিপির অনুপাত সম-অর্থনীতির অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। ফলে রাজস্ব জিডিপি অনুপাত বর্তমানের যৌক্তিক পর্যায়ে বৃদ্ধির কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo