ছবিঃ সংগৃহীত
নিউজ ডেস্কঃ সখের বশে আঙ্গুর চাষ করে সফলতার আশা করছেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের যুগিহুদা গ্রামের আব্দুর রশিদ নামের এক কৃষক। বর্তমানে তার ১০ কাঠা জমিতে ৭৫ টি আঙ্গুর গাছ রয়েছে। এর মধ্যে ৬০টি গাছ থেকে ২৫০-৩০০ কেজির মতো আঙুর সংগ্রহ করার আশা করছেন তিনি।
জানা যায়, যুগিহুদা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে কৃষক আব্দুর রশিদ দীর্ঘদিন ধরে নতুন নতুন ফল ও সবজি আবাদ করে আসছেন। সম্প্রতি সোনালী রঙের তৃপ্তি নামে নতুন জাতের তরমুজ চাষ করে ব্যাপক ফলনও পেয়েছেন। দুই বিঘা জমিতে ৫০ হাজার টাকা খরচ করে প্রায় আড়াই লাখ টাকার তরমুজ তিনি বিক্রি করেছেন।
কৃষক আব্দুর রশিদ জানান, ৭ মাস আগে শখের বশে নিজের দশ কাঠা জমিতে আঙ্গুর চাষ শুরু করেন তিনি। ভারত এবং ইতালি থেকে সংগ্রহ করেন ছমছম, সুপার সনিকা, কালো জাতসহ কয়েকটি জাতের ৭৫টি আঙুর চারা। সাত মাস পরিচর্যার পর তার বেশিরভাগ গাছেই আঙুর ফল ধরেছে।
আব্দুর রশিদ বলেন, প্রতিটি গাছে ৫-৭ কেজি করে আঙুর ধরেছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। বাগানের ৬০টি গাছ থেকে আড়াইশ থেকে তিনশ কেজির মতো আঙুর সংগ্রহ করতে পারবেন। তার বাগানের আঙুর সুস্বাদু হবে তিনি আশা করেন।
তিনি আরও বলেন, আঙুর চাষ সম্প্রসারণে কয়েক বিঘা জমিতে এবার আঙুর গাছের চারা রোপণ করছেন। আঙুর গাছে ফল আসার পর পাকতে সময় লাগে ৩-৪ মাস। তিনি আশাবাদী বাংলাদেশের মাটিতেও সুস্বাদু আঙুর চাষে সফলতা দেখাবেন। ইতোমধ্যে তিনি ২শ টাকা পাইকারি দরে ২৫-৩০ কেজি আঙুর বিক্রি করেছেন।
এ ব্যাপারে মহেশপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অমিত বাগচী জানান, উপজেলার আবহাওয়া ও মাটি বিভিন্ন ফল চাষের জন্য উপযোগী। সাত মাস আগে কৃষক আব্দুর রশিদ তার ১০ কাঠা জমিতে কয়েক প্রজাতির আঙুর গাছের চারা রোপণ করেন। প্রথম বছরেই তার আঙুর বাগানে ব্যাপক ফলন এসেছে। আঙুর পরিপক্ক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষায় আছি। যদি সত্যিই সুস্বাদু হয় তাহলে এ এলাকায় আঙুর চাষে অনেক কৃষক উদ্বুদ্ধ হবে।
নিউজ ডেস্কঃ ১৬ মে, ২০২৪ রাজধানীতে ব্যাটারি চালি...
গোপালপুর প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের গোপালপুর পৌর শহরের হা...
নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলের গোবরা পার্বতী বিদ্য...
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের উলিপুরে স্কুল ছাত্রী ধর্...
মন্তব্য ( ০)